সেঞ্চুরিয়ন: দুই দলেরই একাধিক প্রথম সারির খেলোয়াড় নেই। সামনে টি-২০ ফর্ম্য়াটে বড় কোনও টুর্নামেন্ট তো নেইই, কার্যত পরপরই মহাগুরুত্বপূর্ণ বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি শুরু হতে চলায় ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ়টা যেন খানিকটা ব্যাকফুটেই চলে গিয়েছে। তবে ২২ গজের লড়াইয়ে কিন্তু একদমই এমনটা মনে হয়নি।
প্রথম ম্যাচে যেখানে ভারতীয় ব্যাটারদের গড়া ভিতে জয় এনে দিয়েছিলেন স্পিনাররা, সেখানে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে কার্যত জয়ের মুখ থেকে ফিরে আসতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। ট্রিস্টান স্টাবস ও জেরাল্ড কোয়েৎজ়ার দুরন্ত পার্টনারশিপ একেবারে শেষ লগ্নে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ়ে সমতায় ফিরিয়েছে। চার ম্যাচের সিরিজ়ে তাই তৃতীয় ম্যাচে (IND vs SA 3rd T20I) জয় কোনও দলের জয় সুনিশ্চিত না করুক, তারা যে পরাজিত হবে না, তা সুনিশ্চিত করে দেবে। তাই সিরিজ়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই ম্যাচের গুরুত্ব অপরিসীম।
দুই দলেরই কিন্তু এই ম্যাচের আগে বেশ কিছু জিনিসপত্র, ভুল, ত্রুটি শুধরে ফেলতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে সেটা অবশ্যই স্পিন ভেল্কি সামলানো। দুই ম্যাচে ১৬ ওভার স্পিন খেলে ভারতীয় স্পিনারদের বিরুদ্ধে কার্যত নাকানি চুবানি খেয়েছে প্রোটিয়া বাহিনী। স্পিনারদের বিরুদ্ধে মাত্র ৯১ রানের বিনিময়ে ১৬টি উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই প্রোটিয়া দলকে বরুণ চক্রবর্তী ও রবি বিষ্ণোইকে সামলানোর টোটকা খুঁজে বের করতেই হবে।
ভারতের ক্ষেত্রে সমস্যাটা ভিন্ন। আঠ নম্বরে অর্শদীপ সিংহের ব্যাট করতে নামার অর্থ টিম ইন্ডিয়ার টেল বেশ লম্বা। তাই টপ অর্ডারকেই বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। আর মিডল অর্ডারের শেষটা ভাল করার প্রয়োজন। তবে সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে ভারতীয় দল। প্রথম টি-টোয়েন্টি সঞ্জু শতরান সত্ত্বেও শেষ ছয় ওভারে মাত্র ৪০ রান করে টিম ইন্ডিয়া। আর গত ম্যাচে তো নিরন্তর উইকেট হারিয়ে বড় রানই করতে পারিনি ভারত। তবে মাঠ বদলেছে সেঞ্চুরিয়ান নিজের গতি ও বাউন্সের জন্য পরিচিত। সেখানে ভারতীয় ব্যাটাররা প্রোটিয়া আক্রমণকে কেমনভাবে সামলায়, টিম ইন্ডিয়ার স্পিনাররাই বা কতটা প্রভাবশালী হতে পারে, সেটাই কিন্তু ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করতে চলেছে।
(Feed Source: abplive.com)