Beer bottle color- বর্তমানে শুধু বাদামি বা সবুজ রঙের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বিয়ারের বোতলের রং। বর্তমানে গাঢ় নীল রঙের বোতলেও বিয়ার বিক্রি হয় বাজারে।
জানেন কি বিয়ারের বোতল কেন বাদামি বা সবুজ রঙেরই হয়, কেন অন্য রঙের হয় না? আসুন জেনে নেওয়া যাক এই রঙিন বোতলের রহস্য। আসলে বিয়ারের বোতলের এই রঙের উপরই নির্ভর করে অনেক কিছু।
অনেকেই বলেন, গলা ভেজাতে ঠান্ডা বিয়ারের জুড়ি মেলা ভার। গরমের দিনে তো বটেই, শীতেও অনেকে রুম টেম্পারেচরে বিয়ার খেতে পছন্দ করেন। কখনও খেয়াল করেছেন বিয়ারের বোতলের রং খয়েরি বা সবুজই হয় কেন? (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
বিয়ারের বোতলের রংয়ের এক অদ্ভুত রহস্য রয়েছে। বেশিরভাগ বিয়ারের বোতলই বাদামি বা সবুজ রঙের হয়। জানেন কি বিয়ারের বোতল কেন বাদামি বা সবুজ রঙেরই হয়, কেন অন্য রঙের হয় না? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
কলকাতার মদ ব্যবসায়ীদের একটি সংগঠনের থেকে পাওয়া হিসেব বলছে, প্রতি বছর মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মদের দোকানের ব্যবসার ৭০ শতাংশ বিয়ারের উপরেই নির্ভরশীল। আর এই বিয়ার পাওয়া যায় নির্ধারিত দুটি রঙের বোতলে।
আগে স্বচ্ছ কাচের বোতলেই বিয়ার রাখা হত। কিন্তু তাতে দিনের বেলায় সূর্যের আলো এবং অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে বিয়ারে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে দুর্গন্ধ অনেকটাই বেড়ে যেত। তাই সূর্যের আলোর বিকিরণ এবং অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকে বিয়ারকে বাঁচাতে বিকল্প ব্যবস্থার ভাবনা মাথায় আসে।
প্রথম দিকে বিয়ারকে সূর্যের আলো এবং অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকে বাঁচাতে স্বচ্ছ কাচের বোতলের উপর বাদামি রঙের প্রলেপ দেওয়া শুরু হয়। এই বাদামি রং অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকে বিয়ারকে রক্ষা করতে সক্ষম।
প্রশ্ন হল, বাদামি রঙের বিয়ারের বোতলে যদি সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে সবুজ রঙের বোতলের দরকার পড়ল কেন? ১৯৪০ থেকে ৪৫-এর মধ্যে সবুজ রঙের বোতলে বিয়ার বিক্রি শুরু হয়। জানা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন বাদামি রঙের বিয়ারের বোতলের জোগানে ব্যাপক টান পড়ে। ফলে বাদামি রঙের বোতলের পরিবর্তে সবুজ রঙের বোতলে বিয়ার বিক্রি শুরু হয়।
বর্তমানে শুধু বাদামি বা সবুজ রঙের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বিয়ারের বোতলের রং। বর্তমানে গাঢ় নীল রঙের বোতলেও বিয়ার বিক্রি হয় বাজারে।
(Feed Source: news18.com)