Faridabad News: ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি সংলগ্ন সরস্বতী কলোনি এলাকার একটি হোটেলে।
প্রেমিকাকে নিয়ে হোটেলে গিয়েছিলেন বিবাহিত যুবক
ফরিদাবাদ: এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় রীতিমতো হুলস্থূল পড়ে গিয়েছে হরিয়ানার ফরিদাবাদে। আসলে সেখানকার একটি ওয়ো হোটেল থেকে এক যুগলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি সংলগ্ন সরস্বতী কলোনি এলাকার একটি হোটেলে।
স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতে শুরু হয়েছে তুমুল হইচই। পুলিশ জানিয়েছে যে, মৃতদের শনাক্ত করা গিয়েছে। ওই যুগলের নাম মোহিত আওয়ানা (৩০) এবং তনু (২১)। তাঁরা দু’জনেই ইসমাইলপুরের শিব এনক্লেভের বাসিন্দা। মোহিত নামে ওই যুবকের বিয়ে হয়েছিল চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসেই। আপাতত তদন্তের স্বার্থে মোহিত আর তনুর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের স্বার্থে যুগলের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে জানা গিয়েছে যে, ঘটনার আগে দু’জনেই নিজেদের আত্মীয়দের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন।
ওই হোটেলে মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয় পাল্লা থানার পুলিশ। আর সময় নষ্ট না করে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল তারা। পাল্লা থানার পুলিশ জানিয়েছে যে, যুগলের মধ্যে আগে থেকেই ছিল বন্ধুত্বের সম্পর্ক। যদিও মোহিতের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই। দুধ বিক্রি করতেন ওই যুবক। তনুর সঙ্গে বন্ধুত্ব কিন্তু বিয়ের পরেও চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। দুই পরিবারের তরফেই মোহিত আর তনুকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, কিন্তু সে কথা কানে পর্যন্ত তোলেননি যুগল। রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ ওয়ো হোটেলে পৌঁছেছিলেন তাঁরা। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়েই হোটেলে রুম বুক করেছিলেন। সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট নাগাদ হোটেলের ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন মোহিত। হোটেল কর্মীদের কাছ থেকে একটি ঠিকানার বিষয়ে জানতে চান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, তনু একটি বিমা সংস্থায় চাকরি করতেন। বাড়ি থেকে কাজে বেরোনোর দোহাই দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। ওই যুবতীর পরিবার আদতে বিহারের পূর্ব চম্পারণের বেতিয়ার বাসিন্দা। জীবনযাপনের জন্য ২০০১ সালে বিহার থেকে পরিবার নিয়ে ফরিদাবাদ পাড়ি দিয়েছিলেন তনুর বাবা। শিব এনক্লেভেই থাকতেন তাঁরা। তনুর বাবা একজন বেসরকারি কর্মচারী।
এই মামলার বিষয়ে থানা পাল্লার ম্যানেজার রণবীর সিং বলেন যে, মোহিত আর তনুর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ফরিদাবাদের বাদশাহ খান সিভিল হাসপাতালে। আর ময়নাতদন্তের পরে অবশ্য যুগলের দেহ তাঁদের নিজেদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলায় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
(Feed Source: news18.com)