কলকাতা: মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছিল। যা চরম আকার নেয়, রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে। এই প্রেক্ষাপটে আতঙ্কে ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেছেন, ‘শিবচরে জোর করে ইসকন সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। ইসকন ভক্তদের তুলে নিয়ে গেছে বাংলাদেশ সেনা। গাড়িতে তুলে নিয়ে গেছে বাংলাদেশ সেনা। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর টানা আক্রমণ চলছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি খুব খারাপ। রাস্তায় বেরনো যাচ্ছে না বলেই রাস্তায় নামতে হয়েছে,’। এদিন এবিপি আনন্দকে এমনটাই জানিয়েছেন রাধারমণ দাস।
তিনি এও বলেন, ‘বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ হলে ভক্তদের কী হবে? ঢাকাতেই ইসকনের ৫টি মন্দির রয়েছে।’
এদিকে বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদন খারিজ করল সেদেশের হাইকোর্ট। এদিন আদালতের তরফে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদালত কোনও নির্দেশ দেবে না’।
যদিও আজকের শুনানিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি ইউনূস সরকার। বরং বাংলাদেশে অশান্তি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে আদালত। কাউকে আইনশৃঙ্খলা ভাঙতে দেওয়া যাবে না, নির্দেশ বাংলাদেশ হাইকোর্টের। আদালতের তরফে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছে। হিংসা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার’। তবে গোটা বিষয়টি সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়ে দেখা হচ্ছে, আদালতে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদে উত্তাল বাংলাদেশ। জামাত থেকে পুলিশ-হিন্দুদের উপর সাঁড়াশি আক্রমণ। বাংলাদেশের শিবচরে জোর করে বন্ধ করা হল ইসকন সেন্টার। ইসকন সেন্টার বন্ধের ছবি পোস্ট ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্টের।
(Feed Source: abplive.com)