ঢাকা: সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে এবার পাল্টা ভারতকে আক্রমণ বাংলাদেশের। ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলি বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে ঢাকা। ভারত বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করছে, তা অন্যায্য এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের এই আচরণ দ্বিচারিতার পরিচয় বলেও অভিযোগ তুলল পড়শি দেশ। (Bangladesh News)
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে লাগাতার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠে আসছে। সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে সেই নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সেই আবহেই এবার ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুললেন বাংলাদেশের আইন মন্ত্রকের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। সরাসরি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার এবং বিজেপি-কে আক্রমণ করেছেন তিনি। (Chinmoy Krishna Das Arrested)
একটি সমীক্ষা তুলে ধপে ফেসবুক পোস্টে আসিফ লেখেন, ‘বাংলাদেশের ৬৪.১ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, আওয়ামি লিগের থেকে অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের বেশি নিরাপত্তা দিতে পারছে। আমরা নিজেরাও দেখেছি, ছাত্র সংগঠন, মাদ্রাসা ও রাজনৈতিক দল-সহ বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রতিক দুর্গাপুজোর সময় কী ভাবে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করেছে। চট্টগ্রামে আইনজীবী সইফুল ইসলামকে নির্মম ভাবে হত্যার পরও বাংলাদেশের মুসলমিরা অসীম সংযম এবং ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন’।
আসিফ আরও লেখেন, ‘এর পরও বাংলাদেশের পরিস্থিতির জন্য ভারতের অযাচিত উদ্বেগ প্রকাশ থেমে নেই। ভারতের নিজের মাটিতে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উপর অসংখ্যা নির্মমতার ঘটনা ঘটে চলেছে। অথচ সেটা নিয়ে তাদের সঙ্কোচ বা অনুশোচনা নেই। ভারতের এই দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর’।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসও। তাঁর প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম বিবৃতি দিয়ে জানান, ‘আমাদের নিজেদের কথা তুলে রতে হবে, অন্যথায় (ভারতীয় সংবাদমাধ্যম) নিজেদের মতো করে ভাষ্য তৈরি করে দেবে’। দেশের বিরুদ্ধে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠছে বাংলাদেশ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সেই নিয়ে প্রতিবাদ সভারও আয়োজন হয়। পাশাপাশি, হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবিও ওঠে।
বাংলাদেশে সন্ন্যাসী গ্রেফতারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দিল্লি। প্রবাসী ভারতীয়দের তরফে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হস্তক্ষেপও দাবি করা হয়। তবে এখনও জেলেই রয়েছেন চিন্ময়কৃষ্ণ। ISKCON-কে দেশে নিষিদ্ধ করার দাবি আদালতে খারিজ হয়ে গেলেও, তাদের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে বলে খবর। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কূটনীতিকদের একাংশ।
(Feed Source: abplive.com)