ঢাকা: চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে প্রতিবাদ, মিছিল চলছে এখনও। সেই আবহে কলকাতার ISKCON জানাল, বাংলাদেশে গ্রেফতার হয়েছেন আরও এক সন্ন্যাসী। এবার চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার হলেন সন্ন্যাসী শ্যামদাস প্রভু। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। এ নিয়ে কলকাতার ISKCON উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নিরপরাধ সন্ন্যাসীদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে, প্রশ্ন তুলেছে তারা। (Bangladesh News)
জানা গিয়েছে, শনিবার চট্টগ্রাম থেকে সন্ন্যাসী শ্যামদাসকে গ্রেফতার করা হয়। জেলে চিন্ময়কৃষ্ণকে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। শ্যামদাসকে গ্রেফতারের ওয়ারেন্ট পর্যন্ত পুলিশের কাছে ছিল না বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের ভৈরবে ISKCON-এর আরও একটি কেন্দ্রে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। (Shyam Das Prabhu Arrested)
কলকাতায় ISKCON-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস শ্যামদাসের গ্রেফতারির কথা জানিয়েছেন। মাইক্রোব্লগিং সাইট X (সাবেক ট্যুইটার)-এ শ্যামদাসের গ্রেফতার হয়েছেন বলে লেখেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘এঁকে দেখে কি জঙ্গি মনে হচ্ছে? #FreeISKCONMonks বাংলাদেশ। ISKCON-এর নিরপরাধ ব্রহ্মচারীদের গ্রেফতারি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং বিপজ্জনক’।
Does he look like a terrorist?#FreeISKCONMonks Bangladesh. The arrest of innocent #ISKCON brahmacharis are deeply shocking & disturbing. pic.twitter.com/VG6u7jlnXB
— Radharamn Das राधारमण दास (@RadharamnDas) November 30, 2024
সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের জেরে চলতি বছরের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সেই থেকে পড়শি দেশ থেকে লাগাতার সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে অত্যাচার, হামলার ঘটনা সামনে আসছে। সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ি, মন্দিরে হামলার অভিযোগ উঠছে লাগাতার। সেই আবহেই সম্প্রতি চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাঁর জামিনের আর্জিও খারিজ হয়ে যায় আদালতে।
বাংলাদেশে ISKCON-কে নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠছে। যদিও হাইকোর্টে সম্প্রতি সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। তবে ISKCON-এর প্রায় ১৭টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ সরকার। ISKCON-কে নিষিদ্ধ করার পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু না বললেও, আদালতে ISKCON-কে ‘ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন’ বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকার। ভারতের তরফে ইতিমধ্যেই পরিস্থিতির নিন্দা করা হয়েছে। প্রবাসী ভারতীয়রা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পদক্ষেপ করতে আর্জি জানিয়েছেন। সেই আবহে বাংলাদেশ আবার দিল্লির দিকে আঙুল তুলেছে। তাদের দাবি, ভারতে সংখ্য়ালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা নেহাত কম নয়। সেই নিরিখে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত। দিল্লির বিরুদ্ধে তারা দ্বিচারিতার অভিযোগও তুলেছে। এতে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কেও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
(Feed Source: abplive.com)