
শুভপম সাহা: নর্থইস্ট ইউনাইটেড (১-০) ও চেন্নাইয়িন এফসি-কে (২-০) হারিয়ে, ইস্টবেঙ্গলের পাখির চোখ ছিল ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে জয় তুলে এনে চলতি লিগে হ্যাটট্রিক করা ও প্রথম ছয়ের দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে যাওয়া|
বৃহস্পতির শীত সন্ধ্যায়, ১৩ হাজার ৪২২ জনের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লাল-হলুদের জেতা হল না! পাঁচ নম্বর (ম্যাচের আগে, এই মুহূর্তে তিনে) দলের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও ইস্টবেঙ্গলকে ১-২ হারতে হল! দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস, সাউল ক্রেসপো, প্রভাত লাকরা ও হেক্টর ইয়ুস্তের মতো প্রথম একাদশের নিয়মিত তারকাদের অস্কার ব্রুজোঁ পাননি| গতকাল প্রাক ম্যাচ সাংবাদিক বৈঠকে যদিও তিনি বলে দিয়েছিলেন, কোনও অজুহাত দেবেন না, ফুটবলারদের উজ্জীবিত করবেন|
দিমি-ক্রেসপোর বদলে কোচের ফরোয়ার্ডে ভরসা ছিলেন মাদিহ তালাল ও ক্লেটন সিলভা| তবে সেই তালালকেই খেলা শুরুর চার মিনিটের মধ্যেই হুগো বুমোস কড়া ট্যাকেলে ছিটকে দিয়েছিলেন| তালাল প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ফিরেও এসেছিলেন, তবে ১০ মিনিটে তাঁকে ফের মাঠ ছাড়তে হয় স্ট্রেচারে করে| তারপর আর মাঠে ফেরা হয়নি ফরাসি মিডফিল্ডারের|
যদিও ইস্টবেঙ্গল লড়াই ছাড়েনি| গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো হয়ে যায় জিকসন সিংয়ের মার্চিং অর্ডার! জোড়া হলুদের লাল কার্ডে তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়| বিরতির আগেই ইস্টবেঙ্গল ১০ জনে হয় যায়!
দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল কিন্তু একই রকম আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে শুরু করেছিল| নির্বাসন কাটিয়ে মাঠে ফেরা লাল চুংনুঙ্গা এগিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলকে! ৫৩ মিনিটে তাঁর গোলে লাল-হলুদ এগিয়ে যায়| কিন্তু ৫৫ মিনিটে জেরি ও ৮১ মিনিটে বুমোসের গোলে সের্জিয়ো লোবেরার টিম তিন পয়েন্ট তুলে নিয়ে যায়| লাল-হলুদের খেলায় ভুলচুক ছিল ঠিকই, তবে রেফারির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক থাকবেই| দীর্ঘদিন পর নিশু কুমারকে দারুণ ছন্দে পাওয়া লাল-হলুদের কাছে বাড়তি পাওনা| তবে সব মিলিয়ে লাল-হলুদের লড়াই ছিল দেখার মতো।
(Feed Source: zeenews.com)