অর্কিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ছাত্রদের এই ধরনের শাস্তি দিয়েছে, যা তাদের মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে বলে জানা গিয়েছে। রেগে যাওয়া অভিভাবকেরা এই আচরণের নিন্দা করেছেন৷ তারা বলেছেন যে, এটি তাদের সন্তানদের অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এখানেই শেষ নয়৷ স্কুল ছাত্রদের হুমকি দিয়েছে৷ বলা হয়েছে, তারা যদি স্কুলের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দায়ের করে তাহলে তার মারাত্মক ফল ভুগতে হবে। তবে এমন ঘটনা শুধু এই স্কুলেই ঘটেছে তা নয়৷ ফি দিতে দেরি করায় অনেক স্কুলই ছাত্রদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করে থাকে৷ শহরের কিছু প্রাইভেট স্কুল ছাত্রদের ফি দেরিতে আসায় আরও কঠিন শাস্তি দিয়েছে বলে অভিযোগ৷ কয়েকজনকে না কি অন্ধকার লাইব্রেরিতে বন্দী করে রাখা হয়েছিল।
একাধিক স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর, শিক্ষা বিভাগ এবং শিশু সুরক্ষা ও রক্ষা বিভাগের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিভাবকেরা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে স্কুলগুলোর লাইসেন্স বাতিল এবং তাদের ব্ল্যাকলিস্ট করার দাবি তুলেছেন। তারা বলেছেন যে, এই ধরনের শাস্তি তাদের সন্তানদের অধিকার লঙ্ঘন করে।
শিক্ষা বিভাগ প্রাইভেট স্কুলগুলোকে বকেয়া ফি নিয়ে ছাত্রদের হয়রানি না করার সতর্কতা দিয়েছে, এবং এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্সের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে বলে উল্লেখ করেছে। অভিভাবকদের স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে এই ধরনের ঘটনার অভিযোগ জানানোর জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে, এবং বিভাগ নিশ্চিত করেছে যে, তারা পুরোপুরি তদন্ত করবে। তারা আরও বলেছে, যদি অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়, তবে স্কুলগুলোর অনুমতি বাতিল করা হবে এবং তাদের ব্ল্যাকলিস্ট করা হবে।
এশিয়ানেট নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই সপ্তাহে ছয়জন ছাত্রকে একদিনের জন্য অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল৷ সেখানে কোনও আলো ছিল না বা অন্যান্য সুবিধা ব্যবহার করার সুযোগও ছিল না।
নিউজ 18 অর্কিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে যোগাযোগ করে অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য চেয়েছিল। স্কুল তাদের দাবি অস্বীকার করেছে এবং সেগুলোকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছে, তবে তারা শহরের অন্য একটি শাখার সাথে যোগাযোগের সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে, একজন ব্যক্তি X (পূর্বে টুইটার) এ লিখেছেন, “স্কুল ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা দায়ের করা উচিত। এই বিষয়টি সংবেদনশীল তরুণদের উপর বিশাল প্রভাব ফেলবে।” আর একজন লিখেছেন, “স্কুলে আমার সঙ্গেও কয়েকবার এমন ঘটেছিল, এমন ঘটনা কাম্য নয়, স্কুলের শাস্ত হওয়া উচিত৷”