ভানুয়াতু : তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভানুয়াতুর উপকূল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৩। ভূমিকম্পে ইতিমধ্যেই ১৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। ২০০-র বেশি মানুষ জখম হয়েছেন। এমনই খবর সেখানকার প্রশাসনিক সূত্রের। মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রের। ভূমিকম্পের পর যেসব ভিডিও সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, স্যুইমিং পুলের জল উথলে উঠছে। কোথাও আবার আতঙ্কে ছোটাছুটি করছেন মানুষ।
ভূমিকম্পের পর পরই উদ্ধারকাজ শুরু হয়ে যায়। ধ্বংসস্তূপের নীচে যাঁরা চাপা পড়ে যান তাঁদের উদ্ধার করতে টানা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। ভেঙে পড়া বহুতলের নীচে চাপা পড়া কয়েকজনকে নাটকীয়ভাবে উদ্ধার করা হয়েছে। অবশ্য এরকম আরও কত মানুষ চাপা পড়ে আছেন তার ইয়ত্তা নেই। এই পরিস্থিতিতে আবার টেলিকমিউনিকেশনে বিপত্তি দেখা দেওয়ায় উদ্ধারকাজে জটিলতা তৈরি হয়। প্রিয়জনরা কোথায় আটকে আছেন তা বুঝতে সমস্যায় পড়েন অনেকে। কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য ফোন সার্ভিস স্বাভাবিক করা হয়। যদিও ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায়নি।
ভানুয়াতুর রাজধানী পোর্ট ভিলার ৩০ কিলোমিটার পশ্চিম ভূমিকম্পের উৎসস্থল। প্রায় ৫৭ কিলোমিটার গভীরতা পর্যন্ত পৌঁছে যায় কম্পন। ভূমিকম্পের কিছু পর পরই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। যদি ঘণ্টা দুয়েক পরেই তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে, পরেও একাধিকবার কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ঘটনার পর আহত ২০০ জনের বেশি মানুষকে স্থানীয় ভিলা সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে। কম করে ১০টি বড় বহুতল ও ৩টি সেতুর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। জলের ২টি বড় রিজার্ভার সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। যার জেরে পোর্ট ভিলায় জল ও বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ফুটেজে কম্পনের ভয়াবহতা উঠে এসেছে। তার মধ্যে রয়েছে একটি ব্যস্ত এলাকায় তিন তলা বাড়ি ভেঙে পড়ার দৃশ্য।
স্থানীয় এক গ্যারাজ কর্মী যিনি উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিলেন, তাঁর বক্তব্য, প্রায় ২০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর পাশাপাশি ৫০ জন এখনও নিখোঁজ।
উদ্ধারকাজ যত এগোচ্ছে, তত স্পষ্ট হচ্ছে ভূমিকম্পের ভয়াবহতার ছবিটা।
(Feed Source: abplive.com)