আদালত চত্বরেই আওয়ামী নেতাকে মার, ফাটিয়ে দেওয়া হল নাক, প্রশ্নের মুখে পুলিশ

আদালত চত্বরেই আওয়ামী নেতাকে মার, ফাটিয়ে দেওয়া হল নাক, প্রশ্নের মুখে পুলিশ

বাংলাদেশের ফের আক্রান্ত আওয়ামী লিগ নেতা। আদালত চত্বরেই নেতাকে বেধড়ক মারধর করা হল। আক্রান্ত আওয়ামী লিগ নেতার নাম আমির হোসেন নুরু । বুধবার ছাত্রনেতা হত্যা মামলায় তাঁকে সিলেটের আদালতে পেশ করা হয়। সেই সময় পুলিশের সামনেই তাঁকে মারধর করে একদল জনতা। অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিরোধী বিএনপির বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লিগের সভাপতি হলেন আমির হোসেন নুরু। বালাগঞ্জ উপজেলার জাসদের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমেদ সুহেলকে হত্যায় মূল অভিযুক্ত হলেন এই আওয়ামী নেতা। সেই মামলায় বুধবার তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৯।এরপর রাতেই তাঁকে বালাগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হলে ঘটে বিপত্তি।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে তাঁকে পেশ করার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। সেই সময় তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায় একদল জনতা। তাঁকে বেশ কয়েকজন মিলে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। তখন পুলিশ বাধা দেয়। মারধরের ফলে নাক ফেটে রক্ত বের হয় আওয়ামী নেতার।

এবিষয়ে সিলেট আদালতের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করার আগেই এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও তাঁর ওপর হামলা হতে পারে সেই তথ্য পুলিশের কাছে আগে থেকে ছিল না বলেই তিনি জানিয়েছেন। ফলে তাঁকে সাধারণ আসামি হিসেবেই আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তিনি জানান, আওয়ামী নেতা আহত হওয়ার কারণে আদালতে পেশ করা যায়নি। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলে।

অন্যদিকে, এবিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) মহম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তের ওপর হামলার পরেই বেশি সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উল্লেখ্য, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সুহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন সিলেট-৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত বালাগঞ্জের পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের আজিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে ভুয়ো ভোট করতে বাধা দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাকে খুন করা হয়েছিল। পরে সুহেলের এক আত্মীয় থানায় অভিযোগ জানান। ২৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।

(Feed Source: hindustantimes.com)