রোহিঙ্গা বোঝা আর কত দিন বইবে বাংলাদেশ, বিশ্ব শরণার্থী দিবসের আগে প্রশ্ন হাসিনার

রোহিঙ্গা বোঝা আর কত দিন বইবে বাংলাদেশ, বিশ্ব শরণার্থী দিবসের আগে প্রশ্ন হাসিনার

ঢাকা: সোমবার বিশ্ব শরণার্থী দিবস (World Refugee Day)। তার আগে দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তাঁর দাবি, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ১০ লক্ষের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী (Rohingya Refugees) রয়েছেন। এই বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর বোঝা আর কত দিন বইবেন তাঁরা, প্রশ্ন তুললেন হাসিনা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বেআইনি অস্ত্র, মাদক কারবার এবং নারী পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ তাঁর। তাঁর মতে, রোহিঙ্গাদের এ হেন গতিবিধি সমাজের জন্য বিপজ্জনক এবং তাতে সমস্যায় পড়ছে বাংলাদেশ।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হাসিনার

কানাডার নয়া নিযুক্ত হাই কমিশনার লিলি নিকোলসের সঙ্গে রবিবার সংসদ ভবনে সাক্ষাৎ করেন হাসিনা। সেখানেই রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা তুলে ধরেন তিনি। জানান, ভাসান চরে ১১ লক্ষের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রিত। অস্থায়ী ভাবেই তাঁদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সব রকম সুযোগ সুবিধা প্রদানেরও চেষ্টা চলছে। কিন্তু এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরমার্থীর বোঝা আর কতদিন বইতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে, জানতে চান হাসিনা।

জবাবে হাসিনাকে সব রকম সাহায্য়ের আশ্বাস দেন লিলি। তিনি জানান, কানাডার তরফে অর্থ সাহায্য আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আরও অনুদান জোগাড় করা হচ্ছে। অর্ধ শতকের কূটনৈতিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে লিলি জানান, বাংলাদেশের ভূমিকায় খুশি কানাডা। স্বাধীনতার ৫০তম বর্ষ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষেও বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান তিনি।

হাসিনা এবং লিলির কথোপকথনে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উঠে আসে। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে কানাডা বাংলাদেশের পাশে থেকেছে বলে উল্লেখ করেন। করোনার সময়ও কী ভাবে টিকা এবং সরঞ্জাম প্রদান করে বাংলাদেশকে সাহায্য় করা হয়েছে, তুলে ধরেন তিনি। বাংলাদেশি পড়ুয়াদের কানাডায় পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান সে দেশের সরকারকে। পাশাপাশি স্টুডেন্ট ডায়রেক্ট স্ট্রিম প্রোগ্রামে বাংলাদেশি পড়ুয়াদের সংযুক্ত করার আবেদনও জানান।

বাংলাদেশ-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা

রবিবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও দুই দেশের মধ্যে কথা হয়। যুদ্ধের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রভূত ক্ষতি হচ্ছে বলে মেনে নেয় দুই পক্ষই। এমন পরিস্থিতি বাংলাদেশ এবং কানাডার মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত করে তোলা নিয়ে কথা হয়।

(Source: abplive.com)