Manu Bhaker-D Gukesh | Khel Ratna Award: এবার খেলরত্নে ভূষিত হচ্ছেন মনু-গুকেশ, দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান পাচ্ছেন আরও ২

Manu Bhaker-D Gukesh | Khel Ratna Award: এবার খেলরত্নে ভূষিত হচ্ছেন মনু-গুকেশ, দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান পাচ্ছেন আরও ২

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেন্দ্রের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রক ২০২৪ সালের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার (National Sports Awards 2024) প্রাপকদের নাম ঘোষণা করে দিল। মনু ভাকের, ডি গুকেশ, হরমনপ্রীত সিং এবং প্রবীণ কুমার (Manu Bhaker, D Gukesh, Harmanpreet Singh, Praveen Kumar) মেজর ধ্যানচাঁদ (Major Dhyan Chand Khel Ratna) খেলরত্ন পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন।

প্রাক্তন বিচারপতি ভি রামাসুব্রমামের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ক্রীড়া দিবস কমিটি এই চার ক্রীড়াবিদের নাম বেছে নিয়েছে। আগামী ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ভবনে সকাল ১১ টায়, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু  (President Draupadi Murmu) বিশেষ অনুষ্ঠান করবেন। সেখানে মনু-গুকেশদের হাতে তুলে দেবেন দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান। ক্রীড়া মন্ত্রক এবার অর্জুন পুরস্কারের জন্য ১৭ প্যারা-অ্যাথলিট সহ ৩২ জন ক্রীড়াবিদকে বেছে নিয়েছে।

মনু ভাকের: চলতি বছর প্যারিস অলিম্পিক্সে আগুনে পারফর্ম করে, সব আলো একাই কেড়ে নিয়েছিলেন মনু। তিনি ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে ব্যক্তিগত দক্ষতায় ব্রোঞ্জ জেতার পাশাপাশি, তিনি ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের মিশ্র দলগত ইভেন্টেও ব্রোঞ্জ জিতেছেন সরবজ্যোত সিংয়ের সঙ্গে। তবে ২৫ মিটার পিস্তলের ফাইনালে তাঁর অল্পের জন্য় পদক হাতছাড়া হয়েছিল। প্রথম ভারতীয় হিসেবে এক অলিম্পিক্সে জোড়া পদক পেয়েছেন মনু। স্বাধীন ভারতে এই নজির আর কোনও ক্রীড়াবিদের নেই। ১৯০০ সালে নর্ম্যান প্রিচার্ড অ্যাথলেটিক্সে ২টি রুপো জিতেছিলেন। তাঁর ইভেন্ট ছিল ২০০ মিটার স্প্রিন্ট ও ২০০ মিটার হার্ডল। মনুর জোড়া পদকই বন্দুক চালিয়ে। পিভি সিন্ধুর পর দ্বিতীয় ভারতীয় মহিলা হিসেবে জোড়া অলিম্পিক্স পদক পেয়েছেন তিনি। নর্ম্যান প্রিচার্ড, সুশীল কুমার, সিন্ধু, নীরজ চোপড়ারা রয়েছেন এক আসনেই।

যদিও দেশের এই কৃতী মেয়েই এবার শুরুতে খেলরত্নের মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েছিলেন! ক্রীড়ামন্ত্রকের দাবি, মনু নাকি খেলরত্নের আবেদনই করেননি। তবে মনুর বাবা রামকৃষ্ণ ভাকের কিন্তু একদম রেয়াত করলে না। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়মে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে তিমি বলেন, ‘এক অলিম্পিক্সে জোড়া পদক পেয়েও যদি পুরস্কারের জন্য় ভিক্ষা করতে হয়, তাহলে সেই পদক পেয়ে কী লাভ হল! এক সরকারি কর্তা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং কমিটির সদস্যরা তাঁদের মতামত না দিয়ে নীরব থাকছেন। আমি বুঝতেই পারছি না কিছু। এভাবে কি আপনি ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করছেন? আমরা পুরস্কারের জন্য আবেদন করেছিলাম কিন্তু কমিটির কাছ থেকে কোনও উত্তর পাইনি। কেন অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের খেলতে উত্সাহিত করছেন! তাঁদের উচিত সরকারি আইআরএস অফিসার হওয়ার জন্য বাচ্চাদের চাপ দেওয়া।’ যদিও সেই বিতর্কের অবসান ঘটল।

ডি গুকেশ: গত ডিসেম্বরে মাত্র ১৮ বছর বয়সে দাবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস লিখেছিলেন দোম্মারাজু গুকেশ। চেন্নাইয়ের দাবাড়ু চিনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ডিং লিরেনকে হারিয়ে নজির গড়েছেন। ১৪ নম্বর ম্যাচে গুকেশ জিততেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এই ঐতিহাসিক জয়ের ফলে গুকেশ হয়ে যান ক্লাসিক্যাল চেসের সর্বকনিষ্ঠ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। গুকেশের এই অর্জন ভারতীয় দাবার জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করল । কারণ ২০১২ সালে বিশ্বনাথন আনন্দের রাজত্ব শেষ হওয়ার পর তিনি এই সম্মানজনক খেতাব জিতে নেওয়া প্রথম ভারতীয়। তাঁর অসাধারণ যাত্রা জাতীয় গর্বকে পুনর্জীবিত করেছে এবং অসংখ্য আশাবাদী খেলোয়াড়কে অনুপ্রাণিত করেছে।

হরমনপ্রীত সিং: প্যারিস অলিম্পিক্সে হরমনপ্রীত সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় পুরুষ দল হকিতে ব্রোঞ্জ জিতেছে। গত অলিম্পিক্সেও ভারতের এই কৃতিত্ব ছিল।

প্রবীণ কুমার: তালিকায় চতুর্থ নাম হাই-জাম্পার প্রবীণ কুমার, যিনি প্যারিস প্যারালিম্পিকে টি-৬৪ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। টি-৬৪ বিভাগে সেই ক্রীড়াবিদরাই অংশ নেন, যাঁদের এক বা দুই পা হাঁটুর নীচ থেকে নেই এবং দৌড়াতে কৃত্রিম পায়ের উপর নির্ভর করতে হয়।

(Feed Source: zeenews.com)