
কলকাতা: দেব ছবির প্রযোজক, তাই কি তিনিই ‘বিনোদিনী’? রুক্মিণী মৈত্রের নতুন ছবি নিয়ে এই প্রশ্ন উঠেছে বারে বারে। বলা হয়েছে, ‘বিনোদিনী’ হিসেবে তাঁকে নাকি একেবারেই মানাচ্ছে না। এই বিষয়ে কী মনে করেন রুক্মিণী? কতটা কটাক্ষ পেরিয়ে পর্দায় ‘বিনোদিনী’ হয়ে উঠতে হয়েছে তাঁকে? এবিপি লাইভকে, তাঁর কেরিয়ারে দেবের অবদান নিয়ে সরাসরি কথা বললেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)।
তাঁর কেরিয়ারে কারও ছায়া রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন রুক্মিণী? অভিনেত্রী বলছেন, ‘আমি ছোট থেকেই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ওপর বিশ্বাসী। আমি ভীষণ স্বাধীনচেতা। কিন্তু এটা আমার সঙ্গে সবসময় হয়.. যখনই আমি যাই করি এই ধরণের প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু পর্দায় অভিনয়টা আমাকেই করতে হয়। হ্যাঁ.. প্রথমদিকে আমার অনিচ্ছা ছিল। আমি ভেবেছিলাম, এতটা কষ্টের জীবন আমি হয়তো মেনে নিতে পারব না। কিন্তু তারপরে আমি যখন অভিনয় করি, আমার সঙ্গ দিয়েছিল একজন পুরুষই। সেই আমায় অভিনয় করার জন্য জোর করেছিল। আজ থেকে নয়, ২০১৭ থেকেও নয়, ২০০৮ সালে, যখন থেকে সে আমায় দেখেছে, তখন থেকে সে আমায় অভিনয় করতে বলেছে। আমি করিনি। অনেকেরই বিশ্বাস, একমাত্র দেবের কারণেই আমি ছবি পাই। অনেকেই হয়তো তা লিখবেনও। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। সেটা সত্যি হলে আমি হিন্দিতে কাজ করতাম না। অনেকেই বলেছেন, জিতের প্রযোজনা সংস্থাতেও আমি কাজ পেয়েছি দেবের জন্য। আবার এই একই মানুষেরা বলে, জিৎ আর দেব নাকি প্রতিন্ধন্দী। আমার মনে হয়, বিষয়টা এতটা সহজ নয়। এটা সত্যি হলে, আমার ‘বিনোদিনী’ কবেই হয়ে যেত। আমার প্রমোদ ফিল্মসকে লাগত না এই ছবিটা প্রযোজনা করার জন্য। অবশ্যই দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্স এসেছিল, কিন্তু দুটো প্রযোজক পালিয়েও গিয়েছিল। আমি তো বিনোদিনী ২০১৯-এই নিয়ে চলে আসতে পারতাম। বিনোদিনী ঘোষণা হওয়ার পরে অনেক প্রযোজক, অনেক বায়োপিক নিয়ে আমায় মেসেজ করেছে। আমার কাছে সত্যিই প্রযোজক নেই। আমার যাত্রাটা এত সহজ হলে, আমায় পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হল কেন? সম্মান দিয়েই বলছি, একটা ছবির জন্য দেবকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হয় না। কিন্তু রুক্মিণীকে হয়। সেটা আমার কারণ। সেটা নিয়ে আমি দর্শকদের কিছু বলতে চাই না। কিন্তু দিনের শেষে বিশ্বাস করি, নিজের কাছের মানুষ সবসময় হাতটা ধরে রাখবে।’
(Feed Source: abplive.com)