
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিজের বাড়িতেই ছুরিকাহত হয়েছিলেন সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)। সেই ঘটনায় ইতোমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন এক ব্যক্তি। কিন্তু সেখানেও একধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে যে ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে সেই ব্যক্তির সঙ্গে কি আদৌ মিল রয়েছে ধৃতর? এবার মুম্বই পুলিসের তদন্তে উঠে এল বড় তথ্য।
সম্প্রতি এই মামলায় ধৃত শরিফুল ইসলামের ফেস রিকগনিশন টেস্ট করানো হয়। সেই পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায় যে সিসিটিভির ব্যক্তি আসলেই শরিফুল। বান্দ্রা পুলিসের দাবি, শরিফুল ইসলামই সেদিনের আক্রমণকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় বারংবার শরিফুল ইসলামের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন যে হয়তো কোনওভাবে ফাঁসানো হচ্ছে শরিফুলকে। অনেক মিডিয়ায় এই রিপোর্টও দেখা যায় যে শরিফুলের সঙ্গে মেলেনি ফিঙ্গার প্রিন্ট। তবে আজ তথা ৩১ জানুয়ারি পুলিসের তরফে নিশ্চিত করা হয় যে সিসিটিভি ফুটেজে যে লোকটিকে দেখা যায়, সেই শরিফুল ইসলাম।
যদিও এই মামলায় প্রথমে একটি বড় ভুল করেছিল মুম্বই পুলিস। গ্রেফতার করেছিল এক সম্পূর্ণ নির্দোষ ব্য়ক্তিকে, যার জেরে ওই ব্যক্তির বিয়ে ভেঙে যায়। চাকরিও হারান তিনি। অন্যদিকে এরপরেই গ্রেফতার করা হয় শরিফুল ইসলামকে। বর্তমানে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে শরিফুলকে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে সইফের বান্দ্রার বাড়িতে ঢুকে পড়ে এক দুষ্কৃতী। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। স্টাফ নার্সের চিৎকারে ঘুম ভাঙে সইফের। ঘরে ঢুকেই দুষ্কৃতীকে আটকাতে তাকে চেপে ধরেন সইফ। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
(Feed Source: zeenews.com)
