তরুণ মজুমদারের শারীরিক অবস্থা অতি সঙ্কটজনক, হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

তরুণ মজুমদারের শারীরিক অবস্থা অতি সঙ্কটজনক, হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: পরিচালক তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) শারীরিক অবস্থা অতি সঙ্কটজনক (Health Update)। হাসপাতাল (Hospital) সূত্রে খবর, বার্ধক্য ও কিডনির সমস্যায় ভুগছেন বর্ষীয়ান পরিচালক। অর্পিতা রায়চৌধুরী-সহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁর চিকিৎসা করছেন।

গত ১৪ জুন তরুণ মজুমদারকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমের (SSKM) উডবার্ন ওয়ার্ডে। পরে নিয়ে যাওয়া হয় মেন ব্লকের সিসিইউ-তে। এদিন নবান্নে যাওয়ার পথে, এসএসকেএমে গিয়ে চিকিৎসকদের কাছে প্রবীণ পরিচালকের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পরিচালকের চিকিৎসায় বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। দলে রয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সৌমিত্র ঘোষ, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সরোজ মণ্ডল, নেফ্রোলজিস্ট অর্পিতা চৌধুরী, সিসিইউ বিশেষজ্ঞ অসীম কুণ্ড।

বাংলা ছবির জগতের অন্যতম জনপ্রিয় ও কিংবদন্তি পরিচালক তিনি। একের পর এক হিট ছবি তাঁর ঝুলিতে। ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আলো’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, কুহেলী, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তাঁর ছবির সামাজিক বন্ধন ও সহজ ভাষার সাবলীলতা মন কেড়েছে আট থেকে আশির। শুধু ছবিই নয়, উপহার দিয়েছেন একের পর এক জুটি। ‘১৯৬২’-তে ‘কাচের স্বর্গ’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পান এই পরিচালক।

মাসখানেক আগেই এবিপি লাইভের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে কথা বলেন পরিচালক। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে কিংবদন্তি পরিচালক তরণ মজুমদারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে নানা পোস্ট করা হচ্ছিল। তখন পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আজ আমার জন্মদিন নয়। কে কোথায় কী পোস্ট করছেন, আমি জানি না। সোশ্যাল মিডিয়া বড় গোলমাল তৈরি করে।’ আসলে তাঁর জন্মদিন কবে? নিজের জন্মদিনে চান না কোনও হইচই হোক। তাই জন্মদিনের তারিখটা নিজের মনেই রাখলেন যত্ন করে।