
নয়াদিল্লি: একসময় বন্ধুত্বের বুলি শোনা যেত। কিন্তু শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েনে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েই চলেছে আমেরিকা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতেও সেই অবস্থানে কোনও ছেদ পড়েনি বলে জানালেন দেশের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুল্কের পাল্টা শুল্ক নিয়ে মোদির সঙ্গে তর্কও হয় বলে জানালেন তিনি। (Donald Trump)
আমেরিকার পণ্যের উপর ভারত যে হারে শুল্ক বসায়, পাল্টা সেই হারে ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক বসিয়েছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি মোদির আমেরিকা সফরে সেই নিয়ে আলোচনাও হয় দু’জনের মধ্যে। আলোচনা তর্কের পর্যায়েও পৌঁছে যায় বলে জানিয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্প জানিয়েছেন তিনি একেবারেই পিছু হটেননি। (US India Tariff War)
আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে ট্রাম্প বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসেছিলেন। আমি ওঁকে জানিয়ে দিই, আমরাও পাল্টা শুল্ক বসাব। আপনারা যে হারে শুল্ক নেবেন, আমরাও একই হারে নেব। উনি (মোদি) ‘না, না’ বলতে শুরু করেন। জানান, বিষয়টা ভাল লাগছে না ওঁর। কিন্তু আমি জানিয়ে দিই, আপনারা যা করছেন, আমিও তা-ই করছি। সব দেশের ক্ষেত্রে একই নিয়ম।”
ট্রাম্পের দাবি, পৃথিবীর মধ্যে ভারতই আমেরিকার কাছ থেকে সর্বোচ্চ শুল্ক আদায় করে। বিশেষ করে গাড়ির উপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক নেওয়া হয়। ট্রাম্প যখন এই মন্তব্য করেন, তাঁর পাশে ছিলেন ধনকুবের ইলন মাস্কও। ভারতে বাজারে টেসলার গাড়ি চালু করতে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চলছে তাঁর। চড়া শুল্ক নিয়ে তিনিও একমত পোষণ করেন। মাস্ক বলেন, “হ্যাঁ ১০০ শতাংশ, গাড়ি আমদানিতে ১০০ শতাংশ।” এভাবে চললে ভারতের বাজারে ব্যবসা করা সম্ভব নয়, ভারত আমেরিকার সঙ্গে অন্যায় করছে বলেও জানান ট্রাম্প।
চড়া শুল্ক নিয়ে মোদির সঙ্গে কী কথা হয়, তাও তুলে ধরেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে তর্ক নয়! আমি যদি ২৫ শতাংশ বলি, ওঁদের খারাপ লাগে। তাই কোনও সংখ্যা বলি না আর। ওদিক থেকে যা নেওয়া হবে, আমরাও সমান হারে শুল্ক নেব বলি। এর ফলে কী হয়, ওঁদেরই থামতে হয়।”
এর আগেও শুল্ক নিয়ে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পথে হেঁটেছেন ট্রাম্প। প্রথম বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হন যখন, সেই সময়ই ভারতকে ‘শুল্কের রাজা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর আরও আগ্রাসী অবস্থান ট্রাম্পের। চড়া শুল্কের পাল্টা শুল্ক বসানোর ঘোষণা করেছেন। সেই নিয়ে সম্প্রতি মোদির সঙ্গে বৈঠকও হয় তাঁর। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। ভারতের তরফে বরং আমেরিকার একাধিক পণ্যের উপর শুল্ক কমানো হয়েছে।
(Feed Source: abplive.com)
