2036 অলিম্পিক্সকে টার্গেট করলে এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে! পরামর্শ শ্রীজেশের

2036 অলিম্পিক্সকে টার্গেট করলে এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে! পরামর্শ শ্রীজেশের

অলিম্পিক্স এলেই ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের থেকে পদকের আশায় থেকে আপামোর জনতা। কিন্তু অলিম্পিক্স চলে গেলে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের অনেককে নিয়ে কোনও আলোচনাই আর হয়না। সেটা নেটমাধ্যম হোক কিংবা আম জনতার মধ্যে। গোটা ভারতই তখন মাতামাতি করে ক্রিকেটের বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের নিয়ে। এক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের কোনও কিছুই করার নেই, কারণ ভারতে এই খেলারই জনপ্রিয়তা সব থেকে বেশি।

ফলত অলিম্পিক্সে ভারতের পদক সংখ্যা ঘোরাফেরা করে ওই ৫-৭র মধ্যে, যা ২০ বছর আগে আরও কম ছিল। সেই পদক সংখ্যা বাড়াতে গেলে তৃণমূল স্তর থেকেই ক্রীড়ার মানোন্নয়ন করতে হবে, বলছেন দুবারের অলিম্পিক্স পদকজয়ী হকি তারকা পিআর শ্রীজেশ। টোকিও অলিম্পিক্সের পর শ্রীজেশের ভারত প্যারিসে গিয়েও ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে, যা ভারতীয় হকির সাম্প্রতিককালের অন্যতম সেরা পারফরমেন্স।

এখন থেকেই ৩৬ অলিম্পিক্সকে টার্গেট করতে হবে

প্যারিস অলিম্পিক্সের পরই অবসর নেওয়া এই তারকা বলছেন, ‘খেলোয়াড়দের এক্সপোজার পেতে হবে। বড় ক্ষেত্রে সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগিয়ে পারফর্ম করাটা স্বপ্নের মতো বিষয়। অলিম্পিক্স বাকি সব প্রতিযোগিতার থেকে আলাদা, কারণ এখানে মানসিক চাপ প্রচুর থাকে। সেখানে যাতে খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা দিতে পারে, তাই তাঁদের আগে থেকেই তৈরি করাটা গুরুত্বপূর্ণ ’।

আগে চোখের সামনে উদাহরণ ছিল না

শ্রীজেশ আরও বলছেন, ‘ আমরা যখন খেলা শুরু করেছিলাম, তখন হকি বলতে আমরা বুঝতাম শুধুই সোনালি অতীতের কথা। কিন্তু এখনকার প্রজন্মের কাছে সুযোগ রয়েছে হাতের সামনে উদাহরণ দেখতে পাওয়ার। ওরা এখন বুঝতে পারবে নিজেদের সেরাটা দিলে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বড় কিছু করে দেখানো সম্ভব। আমি যখন অনূর্ধ্ব ২১ দলের সঙ্গে কাজ করি, ওদের বোঝানোর চেষ্টা করি যে ওরাও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে জীবনে এগোতে পারবে’।২০৩৬ অলিম্পিক্সে টার্গেট ভারতের

ভারত ইতিমধ্যেই ২০৩৬ অলিম্পিক্স আয়োজনের জন্য ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। সেই প্রতিযোগিতায় যদি ভারত সত্যি হোস্ট করার সুযোগ পায় তাহলে সেটাই হবে তাঁদের পদক সংখ্যা বাড়ানোর সব থেকে বড় সুযোগ। তাই হকির প্রাক্তন অধিনায়ক বলছেন, পরিকল্পনাটা এখন থেকেই শুরু করতে।

১২-১৪ বছরের এজ গ্রুপকে টার্গেট করা

ভারতের প্রাক্তন হকি গোলরক্ষকের কথা অনুযায়ী, ‘আমাদের তৃণমূল স্তর থেকে প্রতিভা খুঁজে আসার বিষয়ে মন দিতে হবে। অনেক কাজ করতে হবে, তৃণমূল স্তরেই আসল বিনিয়োগ করতে হবে। যদি সত্যি আমরা ২০৩৬ অলিম্পিক্সকে টার্গেট করতে চাই, তাহলে এখন থেকেই ১২-১৪ বছরের এজ গ্রুপকে নিয়ে আমাদের পরিচর্যা করার কাজ শুরু করতে হবে। আমাদের গোটা সিস্টেমেই স্পোর্টস কালচার আনতে হবে। শুধু পদক আনার জন্যই নয়, ভালো স্বাস্থ্য এবং সুস্থ জীবনের জন্যেও স্পোর্টসে মন দিতে হবে। এখনকার যুব প্রজন্ম পদক জয়ের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর, সেটা ভালো দিক। কিন্তু এমনভাবেই আমাদের ভিত গড়ে দিতে হবে যাতে এই খেলাগুলোর ভবিষ্যৎও সঠিক হাতেই থাকে ’।

(Feed Source: hindustantimes.com)