জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২৮ মার্চ সাম্প্রতিক সময়ের কালো দিন। লহমায় মৃত্যু ঘটেছে হাজার হাজার মানুষে। এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে প্রাণ আছে! সেই সন্ধানে কাজ করছে রেসকিউ টিম। মায়ানমার-ব্যাংককের ভূমিকম্প। যা সাম্প্রতিক কালের অন্যতম ভয়ংকর ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৭।
কতটা ভয়ংকর ধ্বংস? ছবিই দেখিয়েছে সেটা। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরো (ISRO)-র তোলা ছবি। ভূমিকম্পের আগের ও পরের হাই রেজোলিউশন কিছু ছবি তুলেছিল ইসরো। পরে তারা সেগুলি প্রকাশ করে। সেই ছবি দেখিয়েছে– সেদিন কোথায় কী ঠিক কেমন করে ভেঙে পড়েছিল!
ছবিগুলি তুলেছে কার্টোস্যাট-৩ (Cartosat-3) উপগ্রহ। ভূপৃষ্ঠের মাত্র ৫০০ কিমি উপর থেকে। ভূমিকম্পের ভয়ংকর ধ্বংস, যাকে বলে পাখির চোখে দেখা! এই ছবিগুলি থেকেই কি ‘এরিয়া অফ ডেসট্রাকশনে’র একটা আভাসও মিলেছে? হয়তো তাই। আপাতত দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন জায়গার ধ্বংস-ছবি উঠেছে এবং তা কতটা ভয়াবহতা প্রকাশ করেছে।
সব চেয়ে ভালো এবং বুক-কাঁপানো যে-ছবিটি সামনে এসেছে, সেটা হল ইরাবাদি নদীর উপরের একটি সেতুর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাওয়া।
ধ্বংস হয়ে গিয়েছে মান্দালয় বিশ্ববিদ্যালয়ও। এই বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সংলগ্ন হাইওয়ে এমন ভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, সেসব আর পুনর্নির্মাণ করা প্রায় অসম্ভব!ধ্বংস হয়ে গিয়েছে মায়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়। বিপুল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই শহর। এই শহরের আভা সেতু এবং মহামুনি প্যাগোডাও সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
২৮ মার্চের ভূমিকম্পের পরে মায়ানমার সেনার তরফে প্রথমে বলা হয়েছিল, তখনও পর্যন্ত ৬৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভয়াবহ ভূমিকম্পে। যদিও এক মার্কিন সংস্থার আশঙ্কা ছিল, মৃতের সংখ্যা ১০ হাজারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে দুদিন পরেই লাফিয়ে বেড়েছিল মৃতের সংখ্যা। সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। তখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছিলেন ১৬৪৪ জন! আহত হয়েছিলেন প্রায় সাড়ে তিনহাজার মানুষ– ৩৪০৮ জন! সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, সেদেশে ভূমিকম্পে মারা গিয়েছেন ২০০০-এরও বেশি মানুষ– ২০৫৬! আহত প্রায় ৩৯০০ জন! এখনও ২৭০ জন নিখোঁজ। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে-পড়া অন্তত ৮০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আর কতজন যে ধ্বংসস্তূপের নীচে আছেন, কে জানে! ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে রাস্তা, ভেঙে পড়েছে বাড়িঘর। মায়ানমারের রাজধানীর ধংসস্তূপ দেখলে বোঝা যায়, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতটা!
(Feed Source: zeenews.com)