বিশ্বজয়ের ৩৯ বছর, এনসিএতে সৌরাশিস, খেলার মাঠে সারাদিন কী হল?

বিশ্বজয়ের ৩৯ বছর, এনসিএতে সৌরাশিস, খেলার মাঠে সারাদিন কী হল?

কলকাতা: খেলার মাঠে সারাদিন কী হল, দেখে নিন এক ঝলকে।

জাতীয় অ্যাকাডেমিতে সৌরাশিস

তাঁর প্রশিক্ষণে বাংলার অনূর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেট দল ভারত সেরা হয়েছে। পরে মনোজ তিওয়ারি-অভিমন্যু ঈশ্বরণদের সিনিয়র দলের কোচিংয়ে আসেন। এবার কোচিংয়ের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে চলেছে সৌরাশিস লাহিড়ীর (Saurasish Lahiri) সামনে।

তরুণ প্রজন্মকে কীভাবে কোচিং করাবেন, আধুনিক ক্রিকেটের শর্ত মেনে কোন কোন দিকে দেবেন জোর, বিখ্যাত কোচ ট্রয় কুলির (Troy Cooley) কাছে সেই প্রশিক্ষণ নেবেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার। যে ট্রয় কুলি একসময় ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফ, স্টিভ হার্মিসন, ম্যাথু হোগার্ডদের কোচ ছিলেন। পরে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং কোচ হিসাবে মিচেল জনসনদেরও কোচিং করিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে ভি ভি এস লক্ষ্মণের কাছেও কোচিংয়ের ক্লাস করবেন সৌরাশিস। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে কুলি ও লক্ষ্মণের কাছে ১৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় হাজির থাকবেন প্রাক্তন অফস্পিনার।

হার্দিকের পরীক্ষা

গুজরাত টাইটান্সের (Gujarat Titans) অধিনায়ক হিসাবে আইপিএল (IPL) চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। নেতৃত্ব যে হার্দিক পাণ্ড্যর (Hardik Pandya) কাছে কতটা উপভোগ্য হয়ে উঠেছে, তা বুঝিয়ে দিলেন বঢোদরার অলরাউন্ডার নিজেই।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলতে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা যখন ইংল্যান্ডে, তখন হার্দিক পাণ্ড্যর নেতৃত্বে আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারতের আর একটি দল। যে দলের কোচ হিসাবে গিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান ভি ভি এস লক্ষ্মণ। আইরিশদের বিরুদ্ধে ২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত। ২৬ ও ২৮ জুন দুটি ম্যাচই হবে ডাবলিনে। রবিবারের ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে হার্দিক বলেছেন, ‘আগেও আমি দায়িত্ব নিয়ে খেলতাম। কিন্তু এখন আরও দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। আমি সব সময় মনে করি দায়িত্ব পেলে আমি ভাল খেলি।’

বিশ্বজয়ের বর্ষপূর্তি

একে দুর্বল প্রতিপক্ষ। তার ওপর ভরসা লিগ পর্বের দাপুটে পারফরম্যান্স। ভারতকে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় সাক্ষাতে দুরমুশ করেছিল ক্যারিবিয়ান শিবির। লর্ডসে ফাইনালের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (Ind vs WI) শিবির ধরেই নিয়েছিল যে, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

উৎসবের তোড়জোড়ও সারা হয়ে গিয়েছিল। ড্রেসিংরুমে আনা হয়ে গিয়েছিল শ্যাম্পেন। ভারতকে হারিয়ে সেলিব্রেশন যেন ছিল সময়ের অপেক্ষা।

কিন্তু ফাইনালে সব হিসেব বদলে দেয় কপিল দেবের (Kapil Dev) ভারতীয় দল। যে দল বিশ্বক্রিকেটে কপিল’স ডেভিলস নামে সকলের সমীহ আদায় করে নিয়েছিল। ফাইনালে ক্লাইভ লয়েডের দুর্দান্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪৩ রানে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। ১৯৮৩ সালের ২৫ জুন।

শনিবার, ২৫ জুন সেই বিশ্বজয়ের ৩৯ বছর পূর্ণ হল। ১৯৮৩ সালের ঐতিহাসিক সেই দিনে ভারতের জয়ের নায়ক ছিলেন মোহিন্দর অমরনাথ (Mohinder Amarnath)। ব্য়াটে-বলে তাঁর দাপট কোণঠাসা করে দিয়েছিল ক্যারিবিয়ান শিবিরকে।

বিরক্ত কোহলি

তাঁর নেতৃত্ব গিয়েছে। কিন্তু দলের কাউকে বিপাকে দেখলে এখনও তিনি যেন ক্যাপ্টেন কোহলি। যার প্রমাণ বিরাট কোহলি (Virat Kohli) দিলেন শনিবারও ।

ভারতীয় দল নিজেদের সমস্ত ক্রিকেটারকে ম্যাচ ফিট রাখার উদ্দেশ্যে নিজেদের দলের পাশাপাশি লেস্টার দলেও বেশ কিছু ক্রিকেটারকে খেলায় । লেস্টারের হয়ে খেলেন চেতেশ্বর পূজারা, যশপ্রীত বুমরা, ঋষভ পন্থ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ । শনিবার লেস্টারশায়ারের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন এই সিরিজে ভারতীয় দলের নেট বোলার হিসাবে সুযোগ পাওয়া কমলেশ নাগরকোটি। ম্যাচে ভারতীয় দলের ব্যাটিংয়ের সময় নাগারকোটি বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করছিলেন । তাঁকে সেইসময় নাগাড়ে এক সমর্থক স্ট্যান্ড থেকে বিরক্ত করছিলেন । তখনই এগিয়ে আসেন বিরাট । সাজঘর থেকেই পুরো ঘটনাটা লক্ষ্য করে ব্যালকনিতে এসে সেই সমর্থককে চুপ করতে বলেন কোহলি । ওই ভক্ত কোহলিকে বলেন, তিনি শুধু কমলেশের সঙ্গে একটি ছবিই তুলতে চেয়েছেন । কিন্তু কমলেশ তাঁর দিকে তাকাচ্ছেন না । বিরক্ত কোহলি ওই সমর্থককে পাল্টা প্রশ্ন করেন, কমলেশ নাগরকোটি কি ছবি তুলতে এসেছেন নাকি খেলতে এসেছেন ?

সিরিজ ভারতের

মহিলাদের ক্রিকেটে বড় সাফল্য ভারতের। বিদেশের মাটি থেকে ট্রফি জয় নিশ্চিত করে ফেললেন হরমনপ্রীত কৌররা (Harmanpreet Kaur)। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করল ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল। তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আয়োজকদের ৫ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে হারান হরমনপ্রীতরা।

রঞ্জি ফাইনালের আপডেট

বড় রানের লিড নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ (Mumbai vs MP)। মোটামুটিভাবে সকলে ধরেই নিয়েছেন যে, চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের (Chandrakanth Pandit) প্রশিক্ষণে প্রথমবারের জন্য রঞ্জি ট্রফি ঘরে তুলতে চলেছে রজত পতিদাররা। কিন্তু প্রতিপক্ষের নাম যখন ৪১ বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন মুম্বই, তখন পাল্টা লড়াই হবে না, তাও আবার হয় নাকি!

রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ফাইনাল জমিয়ে দেওয়ার মরিয়া লড়াই শুরু করেছে মুম্বই। শনিবার, ম্যাচের চতুর্থ দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশের চেয়ে আর ৪৯ রানে পিছিয়ে রয়েছে মুম্বই। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের স্কোর ২২ ওভারে ১১৩/২। রবিবার ম্যাচের শেষ দিন। যে গতিতে রান তুলছে মুম্বই, তাতে ওয়ান ডে ক্রিকেটের ভঙ্গিতে ব্যাট করে শ দেড়েক রানের লিড নিতে পারলে শেষ মুহূর্তে মধ্যপ্রদেশ ব্যাটারদের পরীক্ষা দিতে হবে না কে বলতে পারে!

(Source: abplive.com)