
হাইকোর্ট সূত্রে খবর, ১৫ বছর বয়সি ওই কিশোরের জন্মের আগে থেকেই তাঁর জন্মদাতা বাবা এবং মা আলাদা থাকতে শুরু করেন৷
কলকাতা: জন্মদাতা বাবা একজন৷ কিন্তু সন্তান স্নেহে প্রকৃত বাবার মতোই দায়িত্ব পালন করেছেন অন্য একজন মানুষ৷ নিজের স্ত্রীর প্রথম পক্ষের সন্তানকে নিজের পিতৃপরিচয় দিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি৷ শেষ পর্যন্ত সেই আর্জিতে সাড়া দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ হাইকোর্টের এই নির্দেশের ফলেই ১৫ বছর বয়সে বাবা বদল হতে চলেছে এক কিশোরের৷
হাইকোর্ট সূত্রে খবর, ১৫ বছর বয়সি ওই কিশোরের জন্মের আগে থেকেই তাঁর জন্মদাতা বাবা এবং মা আলাদা থাকতে শুরু করেন৷ ২০১০ সালে অসীম (নাম পরিবর্তিত) নামে ওই কিশোরের জন্ম৷ জন্মদাতা বাবার পদবী যেহেতু সরকার ছিল, তাই জন্মের পর কিশোরের পদবীও ছিল সরকার৷
কিশোরের জন্মের পরই তাঁর মা নতুন করে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন৷ তিনি যাঁকে বিয়ে করেন, তাঁর পদবী চট্টোপাধ্যায়৷ সৎ বাবা হলেও মায়ের দ্বিতীয় স্বামীই ছোট থেকে অসীমকে নিজের সন্তান স্নেহেই বড় করেন৷ বাবা আর ছেলের সম্পর্কে একমাত্র কাঁটা হয়ে বিঁধছিল কিশোরের সরকার পদবী৷ অসীম যাতে তাঁর পদবী এবং নাম পিতৃপরিচয় হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, সেই আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন তাঁর সৎ বাবা৷
কলকাতা হাইকোর্টের কৌশিক চন্দ এ দিন সেই আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে জানান, আইনি পদ্ধতি মেনে ওই কিশোরকে দত্তক নিতে হবে তাঁর সৎ বাবাকে৷ সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই কলকাতা পুরসভায় আবেদন করে কিশোরের জন্ম শংসাপত্রে প্রয়োজনীয় বদলের জন্য আবেদন করতে পারবেন তাঁর বর্তমান অভিভাবকরা৷
বিচারপতি চন্দ কলকাতা হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন, দত্তক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে কিশোরের অভিভাবকরা আবেদন করার দু সপ্তাহের মধ্যেই জন্ম শংসাপত্রে পিতৃপরিচয় সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বদল করে দিতে হবে৷ যদিও এ বিষয়ে কিশোরের মা এবং সৎ বাবা কেউই মুখ খুলতে চাননি৷
