
কলকাতা: ২০২১-এর ২ মে, বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের ঘটনা ঘটেছিল। অবশেষে, কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের ৪ বছর পর গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত। CBI-এর হাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত অরুণ দে।কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওয়ান্টেড তালিকায় ১ নম্বরে নাম ছিল নারকেলডাঙার বাসিন্দা অরুণের CBI সূত্রে দাবি, ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল অভিযুক্ত। তাকে ধরার জন্য ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।
একুশের ভোট পরবর্তী মামলায় যেকটি খুনের মামলা হয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম বিজেপি কর্মী অভিজিত্ সরকার খুনের ঘটনা। একুশের ভোটের পর একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। রাজ্যে সেসময় অমিত শাহ এসে তুলে ধরেছিলেন মৃত্যুর পরিসংখ্যান। প্রচুর বিজেপি কর্মীরা হয়েছিল ঘরছাড়া। শুধু বিজেপি কর্মীদেরকেই নয়, তাঁদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের উপরেও চলেছিল হামলা। বিজেপি কর্মীর খুনের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে।
রাজ্য এসেছিল জাতীয় মানবধিকার কমিশন। তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রাজ্যের জেলায় জেলায়, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। রাজ্যের মধ্যে অন্যতম অত্যাচারের ঘটনাগুলি ঘটেছিল কলকাতার পাশাপাশি মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা সহ একাধিক জেলায়। ভোট পরবর্তী মামলার পর কলকাতা হাইকোর্ট তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে।
এদিকে অভিজিৎ সরকারের হত্যাকারীদের ধরতে যখন দাবি তোলা হয়েছিল, তখনও আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল পরিবারকে বলে অভিযোগ। ছাড়া হয়নি অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারকেও। মামলায় সাক্ষদান শুরুর আগে অভিজিৎ এর দাদাকেও প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। নারকেল ডাঙা থানা এলাকায় চলেছিল হামলা। জল অনেকদূর অবধি গড়িয়েছিল। এমনকি তার বাড়ির সামনেও তাঁর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। যদি এতকিছু পরেও দমে যায়নি, অভিজিৎ এর পরিবার। আজ প্রায় ৪ বছর অবশেষে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে অন্যতম অভিযুক্ত।
(Feed Source: abplive.com)
