তাঁদের অসমবয়সী দাম্পত্য নিয়ে কম চর্চা হয়নি। ১৯৯১ সালে বিয়ে করেন সইফ আলি খান এবং অমৃতা সিং। ২০০৪ সালে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। অল্প বয়সী স্বামীকে নিয়ে আগাগোড়াই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন অভিনেত্রী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন সে কথা।
প্রশ্ন করা হয়েছিল, সইফকে নিয়ে কি কখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছেন? অমৃতা বলেন, ‘যদি বলি যে ভুগিনি, তা হলে মিথ্যা বলা হবে। আমাদের মধ্যে সমস্যা আছে। ঝগড়াও হয়। আমার মনে হয়, প্রত্যেকটা মেয়েরই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা স্বাভাবিক।’
ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সইফ-অমৃতা। তবে দাম্পত্যের পথ ছিল না মসৃণ। অমৃতা বলেছিলেন, ‘আমি কাঁদতাম। ঝগড়া করতাম। একজন মহিলা যা যা করতে পারেন, সবই করেছি। ফ্রায়িং প্যান দিয়ে সইফের মাথায় আঘাত করতে ইচ্ছে করেছিল।’
শেষমেশ দাম্পত্য টিকিয়ে রাখতে পারেননি দুই তারকা। তিক্ততা মিশে যায় সম্পর্কে। দুই সন্তান ইব্রাহিম এবং সারাকে বড় করে তোলার দায়িত্ব নিয়েছেন দু’জনেই। যদিও ছেলেমেয়েরা আগাগোড়াই থেকেছেন মায়ের কাছে।
সইফ-অমৃতার মেয়ে সারা আলি খান মনে করেন, আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক কাজ করেছেন তাঁর মা-বাবা। মায়ের সঙ্গেই থাকেন তিনি। নিয়মিত দেখা করতে যান বাবার সঙ্গে।