PoK Protest: জ্বলছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর, পাক সেনার গুলিতে নিহত ৮ সাধারণ নাগরিক

PoK Protest: জ্বলছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর, পাক সেনার গুলিতে নিহত ৮ সাধারণ নাগরিক

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টানা তিনদিন ধরে জ্বলছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর। পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে তোলপাড় সীমান্তপার কাশ্মীর। বুধবার সেই বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে গুলি চালিয়ে দিল পাক সেনা। তাতেই প্রাণ হারালেন ৮ সাধারণ নাগরিক।

যে কাশ্মীর নিয়ে পাক সরকারের এত আবেগ সেখানকার মানুষই এখন চাইছেন তাঁদের মৌলিক অধিকার। তার জেরেই রাস্তায় নেমেছেন আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি। ওই বিক্ষোভের জেরেপাক অধিকৃত কাশ্মীরের দোকানপাট, অফিস আদালত, পরিবহন ব্য়বস্থা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে রাস্তায় নেমেছে পাক সেনা।

সকালে বিক্ষোভকারীরা সেনা ও পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। মুজাফফরাবাদের দিকে তাঁদের মার্চ আটকাতে সেতুগুলিতে কৌশলগতভাবে রাখা বড় বড় শিপিং কন্টেইনারগুলি ঠেলে নিচে নদীতে ফেলে দিয়েছে। একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, বহু বিক্ষোভকারী একজোট হয়ে কন্টেইনারগুলিকে সেতু থেকে নদীতে ফেলে দিচ্ছেন।

সূত্র অনুযায়ী, JAAC মুজাফফরাবাদে মৃত্যুর জন্য পাক রেঞ্জার্সের গুলি চালানোকে দায়ী করেছে, এবং অন্যান্য মৃত্যুর জন্য সেনাবাহিনী সহ পাক নিরাপত্তা বাহিনীর ভারী গোলাবর্ষণকে দায়ী করেছে

বিক্ষোভকারীদের লং মার্চ এবং দাবি

বিক্ষোভকারীরা তাদের লং মার্চ অব্যাহত রেখেছেন। কঠোর দমন-পীড়নের মুখেও তাঁরা মুজাফফরাবাদের দিকে এগিয়ে চলেছেন। তাঁরা মোট ৩৮টি দাবি পেশ করেছেন।

এই দাবিগুলির মধ্যে একটি হলো, পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) কাশ্মীরি শরণার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ১২টি বিধানসভা আসন দিতে হবে। এই শরণার্থীরা পাকিস্তানে বসবাস করেন।

রাওয়ালকোটকে দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের আইএসআই (ISI)-এর অধীনে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এখন সেই শহরেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান গণ-সংহতি দেখা যাচ্ছে। বাগ-এ সহিংস সংঘর্ষের সময় স্থানীয়রা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাঞ্জাব পুলিশের কর্মীদের আটক করেছে। জেকেএএসি (JKAAC) নেতারা PoK-এর সকল জেলার মানুষকে ১ অক্টোবর মুজাফফরাবাদের দিকে মার্চ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এতেই পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়ে যায়।

JAAC নেতা শওকত নওয়াজ মীর বলেন, “আমাদের এই অভিযান ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বঞ্চিত মৌলিক অধিকারের জন্য… হয় অধিকার ফিরিয়ে দিন, না হলে জনগণের ক্রোধের সম্মুখীন হোন।”

মীর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের প্রশাসনকে এক চরম হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ধর্মঘটটি ছিল ‘প্ল্যান এ’—যার মাধ্যমে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে এবং এখন কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হলো। JAAC-এর কাছে আরও বিকল্প পরিকল্পনা এবং একটি গুরুতর ‘প্ল্যান ডি’ রয়েছে।

মুজাফফরাবাদে গুলি চালানোর ঘটনা প্রসঙ্গে JAAC দাবি করেছে যে, মুসলিম কনফারেন্সকে—যা নাকি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা, ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (ISI)-এর সমর্থনপুষ্ট—একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করা হোক। এছাড়াও, AAC নিহতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে।

(Feed Source: zeenews.com)