Zubeen Garg Death probe: ‘জুবিনের মোবাইল কোথায়? শেষমুহূর্তে ঠিক কী ঘটেছিল?’, তদন্তের দাবি চেয়ে CID-র দ্বারস্থ পরিবার…

Zubeen Garg Death probe: ‘জুবিনের মোবাইল কোথায়? শেষমুহূর্তে ঠিক কী ঘটেছিল?’, তদন্তের দাবি চেয়ে CID-র দ্বারস্থ পরিবার…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জুবিন গর্গের (Zubeen Garg) মৃত্যু ঘিরে ক্রমশই বাড়ছে রহস্য। প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী জুবিন গর্গের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গর্গ সোমবার স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, শেষ মুহূর্তে জুবিনের সঙ্গে কী ঘটেছিল, যার ফলে তাঁর মৃত্যু হল, তা জানতে চান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনার একটি সুষ্ঠ তদন্ত হওয়া উচিত বলেও দাবি করেন তিনি।

জুবিনের ১১ দিনের আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার পর সাংবাদিকদের গরিমা বলেন, “আমরা জানতে চাই তাঁর কী হয়েছিল, কেন এমন হল এবং এই অবহেলা কীভাবে ঘটতে পারল? আমরা এর উত্তর চাই।” তিনি আরও বলেন, “জুবিনের মৃত্যুর আগে যাঁরা ইয়টে এবং সেই অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের সকলকেই এর জবাব দিতে হবে।”

গরিমা প্রশ্ন তোলেন, “তাঁরা যখন জানতেন যে সে সাঁতার কাটার মতো অবস্থায় নেই, তখন কেন তাকে জল থেকে তুলে নিলেন না? তাঁরা তো সহজেই সেটা করতে পারতেন, কারণ তাকে অন্যমনস্ক করে দেওয়া খুবই সহজ ছিল।” তিনি জানান, জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা জানতেন যে জুবিনের জল বা আগুনের কাছাকাছি যাওয়া উচিত নয়, কারণ তাতে তাঁর মৃগী রোগের অ্যাটাক শুরু হতে পারে।

গরিমা বলেন, “আমি ন্যায়বিচার চাই! আমি একটি যথাযথ তদন্ত এবং আমাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর চাই। তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা আছে।” তিনি জানান, তাঁর পরিবার আশা করেছিল যে জুবিনের সঙ্গীসাথীরা তাঁর খেয়াল রাখবেন, “কিন্তু এখন আমরা বুঝতে পারছি যে তাঁরা তা করেননি।” জুবিন তাঁর জন্য নির্ধারিত ওষুধ খেয়েছিলেন কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তাঁর স্ত্রী বলেন, তিনি এ বিষয়ে নিশ্চিত নন, তবে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার সময় এখান থেকেই তাঁর ওষুধপত্রগুলি পাঠানো হয়েছিল।

তিনি বলেন, “২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে তাঁর একবার অ্যাটাক হওয়ার পর থেকে তিনি কেবল একটি ওষুধই খেতেন, এবং আমি নিশ্চিত করেছিলাম যে তিনি যেখানেই যান—তা বাড়িতে হোক, গাড়িতে হোক বা স্টুডিওতে—তাঁর ওষুধ যেন থাকে।” গরিমা আরও জানান যে, তাঁরা এখনও পর্যন্ত গায়কের মোবাইল ফোনটি পাননি।

তিনি বলেন, ঘটনার আগের দিন জুবিন তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন কিন্তু ইয়ট ভ্রমণের কোনো পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেননি। “তিনি সাধারণত এ ধরনের বিষয় নিয়ে খুব উৎসাহিত থাকেন, তাই তিনি কেন এই বিষয়ে কিছু বললেন না, তাতে আমি অবাক হয়েছি। হয়তো তিনি নিজেও এই বিষয়ে অবগত ছিলেন না,”—মন্তব্য গরিমার।

গরিমা জানান যে, জুবিনের কথাগুলোই তাঁকে শক্তি যোগাচ্ছে, কারণ জুবিন সবসময় বলতেন যে তিনি “এক বাঘ, আর তাই কঠিন সময়ে আমারও বাঘিনী হওয়া উচিত।” এছাড়াও, শোকাহত পরিবারকে এত সমর্থন ও শক্তি দেওয়ার জন্য তিনি রাজ্যের সমস্ত মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

(Feed Source: zeenews.com)