Donald Trump: নোবেল জিততে মরিয়া ট্রাম্প গাজায় ফেরাচ্ছেন শান্তি! হোয়াইট হাউস বলছে, উনি ‘পিস প্রেসিডেন্ট’…

Donald Trump: নোবেল জিততে মরিয়া ট্রাম্প গাজায় ফেরাচ্ছেন শান্তি! হোয়াইট হাউস বলছে, উনি ‘পিস প্রেসিডেন্ট’…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দীর্ঘদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর ইসরায়েল ও হামাস ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা শান্তি চুক্তির প্রথম পর্বে রাজি হয়েছে। বিশ্বজুড়ে যখন এই সাফল্যের খবর ছড়াচ্ছে, ঠিক তখনই আরও বড় একটি বিষয় শিরোনামে, এই যুগান্তকারী চুক্তিটি সম্পন্ন হলো বহুল কাঙ্ক্ষিত নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার ঠিক একদিন আগে!

স্বাভাবিকভাবে, এই মোক্ষম সময়টিকে কাজে লাগিয়ে হোয়াইট হাউস দ্রুত ট্রাম্পকে ‘শান্তি প্রেসিডেন্ট’ উপাধি দিয়ে সমাজমাধ্যমে টুইট করেছে। ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্পের চোখে এখন শুধু নোবেল পুরস্কার। পুরস্কারের দৌড়ে নাম লেখাতে তিনি যে মরিয়া, তা তাঁর সাম্প্রতিক কার্যকলাপেই স্পষ্ট।

শান্তি স্থাপনের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের দাবিগুলি বিশাল। তাঁর বক্তব্য, তিনি নাকি ইতিমধ্যেই সাত-সাতটি যুদ্ধের নিষ্পত্তি ঘটিয়েছেন। এর মধ্যে যেমন আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার দশক-প্রাচীন সংঘাতের অবসান রয়েছে, তেমনই রয়েছে ভারত-পাকিস্তানের চার দিনের একটি সংঘাতের প্রসঙ্গ।

তবে শুধু চুক্তি করাই নয়, সবার আগে সেই ঘোষণা করার তাগিদও দেখা গিয়েছে ট্রাম্পের মধ্যে। একটি বিশেষ মুহূর্তে স্টেট সেক্রেটারি মার্কো রুবিও ট্রাম্পের হাতে একটি ভাঁজ করা চিরকুট ধরিয়ে দেন, তা এক সংবাদ সংস্থার ক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং সেই চিরকুটের লেখা— ‘ডিলটা সবার আগে ঘোষণা করার জন্য শীঘ্রই ট্রুথ সোশ্যালের একটি পোস্ট অনুমোদন করুন।’ এই প্রথম হওয়ার তাগিদ থেকেই পরিষ্কার অথবা নোবেল পুরস্কারের জন্য তিনি কতটা উদগ্রীব। চিরকুট-কাণ্ডের ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে গাজা চুক্তির প্রথম পর্বের সাফল্যের কথা ঘোষণা করেন।

‘পুরস্কার না পেলে তা দেশের অপমান’

নোবেল কমিটি যদি তাঁকে এই পুরস্কার না দেয়, তাহলে তা ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিরাট অপমান’ হবে বলেও মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘তারা এমন একজনকে দেবে যে কিছুই করেনি, এটি আমাদের দেশের জন্য বড় অপমান হবে।’তবে ট্রাম্পের এই শান্তি প্রচেষ্টার প্রশংসা শুধু রিপাবলিকানরাই করেননি, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও সম্প্রতি বলেছেন যে বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাতেই যুদ্ধ থামানোর ক্ষমতা রয়েছে।

গাজার দুই বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের প্রথম ধাপের ইতি টানার এই সাফল্য নিঃসন্দেহে ট্রাম্পের নোবেল জেতার প্রবল সভাবনা । অক্টোবরের এই গুরুত্বপূর্ণ দিনে পুরস্কারের ঘোষণা হবে, আর বিশ্ব তাকিয়ে দেখবে, শেষ হাসিটা কে হাসেন— ‘শান্তির প্রেসিডেন্ট’ ট্রাম্প, নাকি নোবেল কমিটি।

(Feed Source: zeenews.com)