)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর ‘ভবিতব্য’ কী? চিত্রনাট্য যেমন নায়ক-নায়িকা আর্য-অপর্ণাকে আলাদা হতে দেবে না, বাস্তব পরিস্থিতিও কি তেমনই হবে?
জীতু কমল (Jeetu Kamal) ও দিতিপ্রিয়া রায়ের (Ditipriya Roy) ঝামেলা এখন স্টুডিওপাড়ার চর্চিত টপিক। বৈঠকের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব কাটিয়ে শুক্রবার শুটিং ফ্লোরে ফিরেছেন জীতু কমল। পর্দায় আর্য কামব্যাক করতেই বিরাট পদক্ষেপ দিতিপ্রিয়ার। দুজনের মধ্যে তিক্ততা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে শুটিংয়েও নাকি সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে খবর। এদিন লাইভেও জিতুকে বলতে শোনা যায়, বীতশ্রদ্ধ হয়ে ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। শুধুমাত্র দর্শক এবং টেকনিশিয়ানদের কথা ভেবেই আবার প্রোজেক্টে যোগ দেন তিনি।
জীতুর কথায়, ‘একটা ভাঙা কাঁচ, সেটাকে জোড়া লাগানোর হাজারও চেষ্টা করলেও জানিনা সেটা কতদূর জোড়া লাগবে’। তিনি আরও বলেন, তাঁদের সিন কীভাবে হবে সেটা এখনও তাঁর কাছে ধোঁয়াশা। অন্যদিকে টেলিপাড়া সূত্রে খবর, দিতিপ্রিয়া (Ditipriya Roy) নাকি ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছিলেন মহিলা কমিশনে। চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের (Leena Gangopadhyay) পরামর্শ মতো আর্টিস্ট ফোরামে (Artist Forum) তিনি লিখিত অভিযোগও করেছেন বলে খবর।
মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং মেইল করেছেন আর্টিস্ট ফোরামেও। এরপর শনিবার প্রযোজনা সংস্থা, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ, জীতু কমল এবং দিতিপ্রিয়া রায়কে নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করে আর্টিস্ট ফোরাম। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, কোষাধ্যক্ষ সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও দুই সদস্য। ইন্ডাস্ট্রির কানাঘুষো, দিতিপ্রিয়া নাকি NOC দিয়ে ধারাবাহিক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, ‘দিতিপ্রিয়া এখনও পর্যন্ত অফিসিয়ালি কিছু জমা দিয়েছে বলে আমার জানা নেই। কারও সঙ্গে ব্যক্তিগতস্তরে আলোচনা করতেই পারে। সেটা যতক্ষণ পর্যন্ত অফিসিয়াল হচ্ছে ততক্ষণ কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে কাল (শনিবার) আমরা চ্যানেল, প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে মধ্যস্থতা করে সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেছি। ফাইনাল রেজাল্ট পাওয়া যাবে সোমবার। সেদিন একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’
রবিবার রাতে আর কোনও বৈঠক হওয়ার কথা আছে? এই প্রশ্নের উত্তরে সোহন বলেন, ‘আমি তো সেরকম কিছু জানি না। তবে আমার মনে হয় বৈঠকের বোধহয় আর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। যা হওয়ার কালই হয়েছে। একটা কথাই মাথায় রেখে সিদ্ধান্তে উপনীত হলে ভাল হয়। সেটা হল একটা প্রজেক্টের সঙ্গে অনেকের রুজি রুটি জড়িয়ে। একটা ধারাবাহিকে শুধু কেন্দ্রীয় চরিত্রই তো নয়, পার্শ্বচরিত্র সহ একাধিক কলাকুশলী যুক্ত থাকেন। তাঁদের পেট চালাতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই দিকে অবশ্যই খেয়াল রেখে চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’
সংগঠনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও বিষয় নেই, সিদ্ধান্ত নেবে চ্যানেল ও আর্টিস্ট ফোরাম। সেই বিষয়টা বারবার স্পষ্ট করেছেন সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, ‘জীতু-দিতিপ্রিয়ার মধ্যে সমস্যা রয়েছে সেটা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। সেই প্রভাব কিন্তু, ধারাবাহিকে পড়ছে অথচ মেগাটি বেশ ভাল চলছে। এখন ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত, তার মাঝে নায়ক-নায়িকার সমস্যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার মনে হয় এক্ষেত্রে দুটো রাস্তা খোলা আছে। একটি হল দুজনেই এক পা করে এগিয়ে এসে তিক্ততা ভুলে পুরনো ছন্দে ফেরা অপরটি কিছু না ভুলে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।’
(Feed Source: zeenews.com)
