)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রোজকার খাবারের তালিকায় রুটি যেন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশেষ করে যারা ভাত এড়িয়ে চলেন, তাঁদের কাছে রুটি অনেকটাই ‘হেলদি’ বিকল্প। কিন্তু সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে এই ধারণায় বড়সড় ধাক্কা দিলেন অর্থোপেডিক সার্জনেরা। তাঁর মতে, রুটি আসলে শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এমনকি এটিকে তিনি ‘সবচেয়ে খারাপ খাবার’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রুটি খেলে শরীরে গ্লুকোজ মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। কারণ, রুটিতে থাকা কার্বোহাইড্রেট খুব দ্রুত রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে ইনসুলিন নিঃসরণ বেড়ে গিয়ে শরীরে ফ্যাট জমতে শুরু করে। দীর্ঘদিন ধরে রুটি খেলে ওজন বাড়া, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
তাঁরা আরও বলেন, ‘রুটি খাওয়ার পর শরীরে যে গ্লুকোজ স্পাইক হয়, তা শরীরের বিপাক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। অনেকেই ভাবেন, রুটি ভাতের তুলনায় ভালো। কিন্তু বাস্তবে রুটি অনেক বেশি গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত, যা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়।’
এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রুটি তৈরির জন্য ব্যবহৃত পরিশোধিত আটা বা ময়দা শরীরের জন্য মোটেই উপকারী নয়। এতে ফাইবারের পরিমাণ কম, ফলে হজমে সমস্যা হয় এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে এর মানে এই নয় যে একেবারে রুটি খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। বরং বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া যেতে পারে বাজরা, জোয়ার বা রাগির মতো কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত শস্য। এগুলি ধীরে হজম হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ডায়েটিশিয়ানদের মতে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বৈচিত্র্য রাখা জরুরি। শুধু রুটি বা শুধু ভাত নয়, বরং পরিমিত পরিমাণে দুটোই খাওয়া যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস বা ওবেসিটির ঝুঁকি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
রুটি নিয়ে প্রচলিত ‘হেলদি’ ধারণা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা ও বৈচিত্র্যই হতে পারে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি।
(Feed Source: zeenews.com)
