জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে ক্রমশ সংগঠন শক্তিশালী করছে তৃণমূল কংগ্রেস। দেশের তাবড় বড় রাজনৈতিক দলগুলি ভেঙে নেতারা যোগ দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় দাবি করেন, ‘লোকসভার তিনজন কংগ্রেস সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এমনকী যোগাযোগ রাখছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্যসভার তিন সাংসদও।’
বিষয়টি ঠিক কী ঘটতে চলেছে? সূত্রের খবর, বড় বড় নেতারা যখন অন্য দল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন তখন তিন নেতাকে দলের জাতীয় মুখপাত্রের তালিকায় নতুন করে সংযোজন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই তিনজন নেতারা হলেন—বাবুল সুপ্রিয়, কীর্তি আজাদ এবং মুকুল সাংমা। ২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এখন তিনি বালিগঞ্জ বিধানসভা থেকে নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক।
আর বাকি দু’জন কেন? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন কীর্তি আজাদ। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তিনি। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। পরে নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। আবার তৃণমূলে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন মেঘালয়ের তৎকালীন বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা–সহ কংগ্রেসের ১২ বিধায়ক। মেঘালয়ে এখন তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দল।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই তিন নেতাকে দলের জাতীয় মুখপাত্রদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। দ্রুতই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৪ সলের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতে চূড়ান্ত সিলমোহর দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।