কে চাকরি পাবেন আর কে নয়, কীভাবে ঠিক হয়? জানলেই সাফল্য হাতের মুঠোয়!

কে চাকরি পাবেন আর কে নয়, কীভাবে ঠিক হয়? জানলেই সাফল্য হাতের মুঠোয়!

#নয়াদিল্লি: কাকে চাকরিতে নেওয়া হবে আর কাকে নয়, এই জায়গায় দুটো জিনিস পার্থক্য গড়ে দেয়। প্রথমটি হল জীবনীপঞ্জী বা রেজিউমে এবং কভার লেটার। দ্বিতীয়টি ব্যক্তিত্ব।

এখানে কনটেন্ট কী এবং চাকরিপ্রার্থীর কীভাবে আবেদন করা উচিত সেই নিয়ে আলোচনা করা হল। এছাড়াও থাকল সুলিখিত জীবনীপঞ্জীর প্রভাব এবং অতীত অভিজ্ঞতার দক্ষতার বর্ণনা কীভাবে পার্থক্য তৈরি করে।

অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে জীবনীপঞ্জী হল আদতে স্টোরিবোর্ড। সেখানে নিয়োগকারীকে একটা আকর্ষণীয় গল্প বলাই চাকরিপ্রার্থীর লক্ষ্য হওয়া উচিত।

এটাকে পিচ করার ভঙ্গিমায় ভাবতে হবে। যেখানে চাকরিপ্রার্থীকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নিজের গল্প দেখিয়ে নিয়োগকারীকে প্রভাবিত করতে হবে। গল্পটা বিশ্বাসযোগ্য হলে নিয়োগকারী এটা হায়ারিং ম্যানেজারের কাছে পাঠাবেন এবং চাকরিপ্রার্থীকে পরবর্তী রাউন্ডের জন্য সুপারিশ করবেন।

এই প্রাথমিক বিষয়টাই প্রত্যাখ্যাত প্রার্থীর থেকে যোগ্য প্রার্থীকে আলাদা করে দেয়। ভালো কমিউনিকেশন স্কিল এই পার্থক্য বাড়াতে সাহায্য করে। অ্যাকাডেমিকভাবে দক্ষ প্রার্থীও অনেক সময় ইন্টারভিউ থেকে প্রত্যাখ্যাত হন কারণ অ্যাকাডেমিকভাবে দক্ষ হওয়ার পরেও তাঁরা নিজেদের গল্পটা আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে পারেননি।

এখানে তিনটি বিষয় দেওয়া হল যা একজন চাকরিপ্রার্থীকে কার্যকর জীবনীপঞ্জী তৈরি করতে সাহায্য করবে।

১। দক্ষতা হাইলাইট করতে ছবির ব্যবহার খুব ভালো কাজ দেয়। যে বিষয়ে জ্ঞান বা দক্ষতা নেই তা উল্লেখ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। কোনও কোম্পানিতে নিয়োগ পেয়ে থাকলে অতীত অভিজ্ঞতার সঙ্গে অর্জিত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাও দিতে হবে।

২। কাজের প্রতি চাকরিপ্রার্থী কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, অতীতে বিভিন্ন কোর্সের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনের অভিজ্ঞতা এবং নতুন দক্ষতা অর্জনের ক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে।

৩। সবশেষে, নেতৃত্বদানের গুণাবলী। চাকরিপ্রার্থী কী ধরনের কমিউনিটি পরিচালনা করেছেন, কোনও পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন কিনা, সবই বিবেচনা করা হয়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরটি হল ইকিউ (ইমোশনাল কোশেন্ট)। আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। এটাকে এভাবে ভাবা যেতে পারে।

১। চাকরিপ্রার্থী একটি টিমে কীভাবে পারফর্ম করবেন?

২। চাকরিপ্রার্থী কীভাবে একটি দলকে নেতৃত্ব দেবেন?

৩। এবং সবশেষে, চাকরিপ্রার্থী কীভাবে কোম্পানির দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেবেন?

মনে রাখতে হবে, নিয়োগকারী সবসময় প্রার্থীর মানসিকতা যাচাই করেন। একজন চাকরিপ্রার্থী চাপের মুখে কীভাবে কাজ করবেন, পরিস্থিতির ফায়দা তুলতে পারবেন কি না তাও যাচাই করা হয়।

এই বিষয়গুলো এন্ট্রি লেভেল প্রার্থীদের পরিণত করে এবং তাঁদের সিনিয়র লেভেল বা নেতৃত্বের স্থানে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে সাহায্য করে। তাই চাকরিপ্রার্থী কীভাবে লোকেদের পরিচালনা এবং অনুপ্রাণিত করবেন সেই সম্পর্কেও জীবনীপঞ্জিতে উল্লেখ করতে হবে। কাজের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থী কীভাবে প্রভাব ফেলবেন এবং তাঁর অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো হাইলাইট করে দেওয়া উচিত। শেষ পর্যন্ত ফলাফলই গুরুত্বপূর্ণ।

Published by:Dolon Chattopadhyay

(Source: news18.com)