SaReGaMaPa: চরম দারিদ্র, জুটত না খাবার! সুরজিতের সঙ্গে গান গেয়ে আবেগঘন পূর্বাশা

SaReGaMaPa: চরম দারিদ্র, জুটত না খাবার! সুরজিতের সঙ্গে গান গেয়ে আবেগঘন পূর্বাশা

নদীয়ার তেহট্টের মেয়ে পূর্বাশা মণ্ডল । শৈশব থেকেই তাঁর লোকগানের প্রতি ভালোবাসা। কিন্তু অভাবের সংসারে সাধ আর সাধ্যের মধ্যে ফারাক ছিল বিস্তর। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে মেয়েকে গান শেখানোর সামর্থ্য ছিল না বাবার। মায়ের আগ্রহে আখড়ায় আখড়ায় ঘুরে গান শেখা। ‘সা রে গা মা পা’-র মঞ্চে তাক লাগলেন সেই মেয়ে।

গায়ক সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘ফাগুনেরও মোহনায়’ গাইলেন পূর্বাশা। দু’জনের যুগলবন্দিতে মুগ্ধ দর্শক থেকে বিচারক, প্রত্যেকেই। গান শেষে মঞ্চে দাঁড়িয়েই সুরজিতের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন প্রতিযোগী। পান বিস্তর প্রশংসা।

ছোট থেকেই অভাব ছিল পূর্বশাদের সঙ্গী। জাহাজে মালবহন করার কাজে নিযুক্ত ছিলেন তাঁর বাবা। অনেক সময় আধপেটা খেয়ে দিন কেটেছে। কখনও হয়তো খাবারই জোটেনি। অন্ন এবং আশ্রয়ের জন্য অন্যের সাহায্যপ্রার্থী হতে হয়েছে। তবু হারতে নারাজ পূর্বাশা। গানের সাধনা ছিল অব্যাহত। নিজের প্রতিভার জোরে জায়গা করে নিয়েছেন ‘সারেগামাপা’র মঞ্চে। তাঁর মায়ের আশা, এই অনুষ্ঠানের হাত ধরেই ফিরবে সুদিন।

অতীতেও বিচারকদের কাছে প্রশংসা পেয়েছে পূর্বাশা। তাঁর গলায় মেডেল পরিয়ে দিয়েছিলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী স্বয়ং।