#কলকাতা: কেন্দ্রীয় তালিকায় এক দিকে যখন উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেছে কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যের অনুমোদনপ্রাপ্ত দুটি বিশ্ববিদ্যালয় উজ্জ্বল করেছে রাজ্যের মুখ, ঠিক তখনই তালিকায় বিশ্ববভারতীর স্থান পড়ল অনেকটা। এর আগে তালিকায় ৬৪ তম স্থানে ছিল বিশ্বভারতী, এ বারের তালিকায় বিশ্বভারতী নেমে গেল ৯৮ তম স্থানে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বভারতীর এই প্রভূত পতন স্বভাবতই প্রশ্ন তুলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে।
তবে কি শিক্ষার মান পড়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে, উঠছে সেই প্রশ্ন। কেন এতটা পতন হল কেন্দ্রীয় তালিকায়, তাই নিয়ে শুরু হয়েছে নানারকম যুক্তিতর্ক। এনআইআরএফ-এর তালিকায় এ বার রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে সেরা স্থান দখল করেছে যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কেন্দ্র ও রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকায়ও চতুর্থ ও অষ্টম স্থানেও রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয় দুটি। তার মধ্যে বিশ্বভারতীর এই পরিস্থিতি নিয়ে স্বভাবতই চর্চা শুরু হয়েছে। কেন এক বারে ৩৪ ধাপ পড়ল স্থান, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় একধাপে ৩৪ স্থান নিচে যাওয়ায় কেন্দ্রের অনুদান পেতেও এ বার বিশ্বভারতীর সমস্যা হতে পারে বলেই আশঙ্কা। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরেও কেন বিশ্বভারতীর স্থান এতটা পড়ে গেল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এমনিতেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নানারকম প্রশাসনিক সমস্যা হয় মাঝে মধ্যেই। ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে নানা সময় অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরাও উপাচার্যের সঙ্গে মতানৈক্যে আন্দোলনে নেমেছেন। বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও নানারকম বিতর্কে জড়িয়েছেন। সব মিলিয়ে বারবার ডামাডোলের মুখে পড়েছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়। সেই কারণেই কী তালিকায় অনেকগুলি স্থান পড়ল বিশ্ববিদ্যালয়ের, সেই নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়