#কলকাতা: জীবনের ধন কিছুই যায় না ফেলা। প্রবাদটা যেন নারকেলের জন্যই তৈরি হয়েছিল। এর শাঁস আর জল তো খাওয়া হয়ই। উপকারও প্রচুর। নারকেলের মালাও ফেলনা নয় মোটেই। গেরস্থালির অনেক কাজে লাগে। এমনকী নারকেলের ছোবড়াও জ্বালানি থেকে তোষক তৈরিতে ব্যবহার হয়। আর নারকেল পিষে তেল, দুধ তৈরির কথাও বাদ দেওয়া যায় না। তবে আরও একটা জিনিস আছে, যেটা না বললেই নয়। সেটা হল নারকেলের তুষ বা ভুসি। নারকেলের খোসা থেকে আঁশ তৈরির সময় এই তুষ বের হয়। এটাও যে কত লাগে যে তা গুনে শেষ করা যাবে না।
ডায়রিয়া: ডায়রিয়া বন্ধ করতে এবং হজমের উন্নতিতে জলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয় নারকেলের তুষ বা ভুসি। ব্রাজিলের কিছু অংশে আজও এটাকে পেট খারাপের সেরা দাওয়াই মনে করা হয়। প্রথমে নারকেলের ভুসি জলে সেদ্ধ করে ছেঁকে নেওয়া হয়। তারপর সেটা ডায়রিয়া, পেট খারাপ কিংবা পেটের সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেওয়া হয়। নিমেষের মধ্যে কাজ শুরু করে এটা।
ব্যথার জন্য চা: আর্থ্রাইটিস বা গাটেঁর ব্যথায় ভুগলে চায়ে নারকেলের ভুসি মিশিয়ে খেলে উপকায় পাওয়া যায়। নারকেলের ভুসিতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য আর্থ্রাইটিসের কারণে ফোলাভাব এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
বাসন মাজতে: বাসনকোসন মাজতে নারকেলের তুষ ব্যবহারের চল বহু প্রাচীন। এটা কাঠকয়লার গুঁড়ো এবং লেবুর রসের মিশিয়ে বাসন মাজতে ব্যবহার করা হয়। তবে শুধু ছোবড়া দিয়েও বাসন মাজার চল রয়েছে।
দুর্গন্ধ দূর করতে: এটাও বহু প্রাচীন অভ্যাস। এখনও ঘর বা বাড়ির দুর্গন্ধ দূর করতে এদেশের অনেকেই নারকেলের তুষের আশ্রয় নেন। পিতল বা মাটির মগে কিছুটা কর্পূর আগুনে পুড়িয়ে নেওয়া হয়। তারপর তাতে যোগ করা হয় নারকেলের তুষ। ঘর বিশেষ করে রান্নাঘরের দুর্গন্ধ দূর করতে এটা দারুণ কার্যকরী। তবে শুধু দুর্গন্ধ দূর করাই নয়, এটা মশা তাড়াতেও কাজ করে।
ডিশ হিসেবে: নারকেলের মালায় খেতে দেওয়ার কথা কখনও মাথায় এসেছে? ভাত বা রুটি খেতে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে না। পরিবেশনে নতুনত্ব আনতে চাইলে কোনও বিশেষ পদ নারকেলের মালায় দেওয়াই যায়। বিশেষ করে নারকেল দিয়ে তৈরি কোনও পদ। সেটা কোনও তরকারি হতে পারে বা মিষ্টি। একবার তো করে দেখাই যায়, তাই না!