বামন গ্রহে রামধনু রংয়ের ছটা! এলোমেলো পর্বত, উপত্যকা মিলিয়ে প্লুটোর অপরূপ ছবি তুলে ধরল নাসা

বামন গ্রহে রামধনু রংয়ের ছটা! এলোমেলো পর্বত, উপত্যকা মিলিয়ে প্লুটোর অপরূপ ছবি তুলে ধরল নাসা

নয়াদিল্লি: এক ঝলক দেখলে মনে হবে নানা রংয়ের আবির ছড়িয়ে দিয়েছে কেউ। রামধনু রঙে উজ্জ্বল বামন গ্রহ প্লুটোর (Pluto Rainbow Image) এমনি মায়াবি ছবি প্রকাশ করল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। শক্তিসালী টেলিস্কোপ থেকে তোলা ছবিতে মহাকাশের (Space Beauty) অপরূপ সৌন্দর্য তুলে ধরে সম্প্রতি হইচই ফেলে দেয় তারা। তার মধ্যেই এ বার প্লুটোর রামধনু রং ছবি প্রকাশ করল নাসা, যাতে এক এক রংয়ে প্লুটোর পৃথক ভূ-খণ্ডকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

নাসার হাতে রামধনু রংয়ে উজ্জ্বল প্লুটো

বুধবার নাসা-র তরফে প্লুটর ওই ছবি প্রকাশ করা হয়। গোলাকার চাকতির উপর রামধনু রংয়ের এমন সংমিশ্রণ দেখে কার্যতই অভিভূত হয়ে পড়েন সকলে। তবে সৌরমণ্ডলের একেবারে কিনারায় থাকা প্লুটোর গায়ে এমন রামধনু রংয়ের প্রলেপ কী ভাবে এল, তা-ও ব্যাখ্যা করেছে নাসা। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা বিবৃতি দিয়েছে তারা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নাসা লেখে, ‘এই রামধনুর শেষ কোথায়? সত্য়িই সত্য়িই প্লুটোর গায়ে রংমিলান্তি ঘটেনি। বরং নিউ হরাইজন কর্মসূচির আওতায় বিজ্ঞানীরা রংয়ের প্রলেপ মাখিয়ে প্লুটোর সমস্ত অঞ্চলকে পৃথক ভাবে চিহ্নিত করেছেন। প্লুটোর ভূপৃষ্ঠ অত্যন্ত জটিল এবং বৈচিত্রময়। ইউরোপার মতো এলোমেলো পর্বত, জালের মতো বিস্তৃত উপত্য়কা, গহ্বরময় ভূমি যেমন রয়েছে, তেমনই বরফের মতো মসৃণ সমতল,  বায়ুপ্রবাহের স্পর্শে তৈরি হওয়া টিলা মতো দেখতেও ভূমিখণ্ডও রয়েছে।

২০০৬ সালে নিউ হরাইজন মহাকাশ কর্মসূচির সূচনা করে নাসা। তার আওতায় ২০১৫ সালে দীর্ঘ ছ’মাস ধরে প্লুটো এবং তার উপগ্রহের চারিদিকে চক্কর কেটে ছবি তোলার কাজে নিযুক্ত হয নাসার মহাকাশযান। এখনও মহাশূন্যেই রয়েছে নাসার ওই মহাকাশযান। সৌরজগতের বাইরের বলয়, কুইপার বেল্টের দিকে ক্রমশ এগোচ্ছে সেটি।

ফের নাসা প্রকাশিত ছবি ঘিরে হইচই

ওই মহাকাশযানের তোলা প্লুটোর ছবি নিয়েই এই মুহূর্তে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। সেই ছবি প্রকাশ পেতে তাই নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একদিনে ইনস্টাগ্রামে প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ ওই ছবিটি পছন্দ করেছেন।

(Source: abplive.com)