চীনা নাগরিকরা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নিপীড়নমূলক শাসনে বিরক্ত। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, চীনের উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের মতে, ২০১২ সালে চীন থেকে আশ্রয়প্রার্থীর বার্ষিক সংখ্যা ছিল ১৫,৩৬২ জন।
তিনি বলতেন যে এটি একটি গণতান্ত্রিক দেশ, কিন্তু আমরা এর অনেক রূপ দেখেছি। আমরা আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা-এর রূপে দেখেছি, যারা তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের কী মূল্য দিতে হয়। এশিয়ার সব দেশই তার সম্প্রসারণবাদী নীতিতে ভুগছে। ঋণের জালে আটকে থাকা দেশগুলোর জমি দখল করাই তার প্রিয় শখ। আমরা ভারতের প্রতিবেশী দেশ চীন টি-এর কথা বলছি। সেখানকার নাগরিকরা কার নীতি ও সরকারের ওপর বিরক্ত। এজন্য তারা নিজেদের থাকার জন্য নতুন জায়গা খুঁজছেন। মাওয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চীনের একনায়ক শি জিনপিং বর্তমান যুগকে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের যুগ হিসেবে বর্ণনা করছেন। কিন্তু তা ছাড়া সেখানকার লোকজনকে অন্য দেশে আশ্রয় নিতে দেখা যায় যেখানে তারা কোনো ধরনের মানবিকতা দেখে।
চীনা নাগরিকরা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নিপীড়নমূলক শাসনে বিরক্ত। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, চীনের উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের মতে, ২০১২ সালে চীন থেকে আশ্রয়প্রার্থীর বার্ষিক সংখ্যা ছিল ১৫,৩৬২ জন। যাইহোক, এটি একটি উচ্চ হারে বাড়তে থাকে এবং 2020 সালে 1,08,071 এ বেড়ে যায়। মজার বিষয় হল, 2012 সেই বছর ছিল যখন শি জিনপিং চীনে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। আপনি অনুমান করতে পারেন যে চীনের অবস্থা কতটা খারাপ যে চীন থেকে দেশান্তরিত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।
বিশ্বের চোখে চীন একটি ধনী ও সুখী দেশ হলেও সেখানে মানুষ সুখে-দুঃখে বসবাস করছে। কিন্তু বাস্তবতা খুবই তিক্ত। আলম যে শুধুমাত্র সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিরা চীন থেকে দেশান্তরিত হতে চান। সম্প্রতি অনেক শিল্পপতি সরকারের চোখে চড়ার দাম দেওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যার কারণে এখন চীনা নাগরিকরা নিজ দেশে থাকতে চান না। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি যদি এমনই থাকে, তাহলে সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন বিশ্বের অন্যান্য স্বৈরশাসক দেশের শাসকদের অত্যাচারে ভুগছেন কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের শিঙা ফুঁকবেন জনগণ।
(Source: prabhasakshi.com)