#বীরভূম: অনলাইনে পরীক্ষার দাবি অথবা পরীক্ষার দিন পেছানোর দাবিতে একাধিকবার বিশ্বভারতীতে ছাত্র আন্দোলন দেখা গিয়েছে। তবে এবার বিশ্বভারতীর বেশ কিছু বিভাগের বকেয়া পরীক্ষা দেওয়ার দিনক্ষণ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়াদের একাংশ। মূলত পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণার দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিতে এসে তাঁরা বাধা পেলে প্রথমে বিশ্বভারতীর পাঁচিল টপকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছে পৌঁছে যান পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু সেখানেও কার্যালয়ে বন্ধ থাকায় তাঁরা স্মারকলিপি জমা দিতে পারেননি।
বকেয়া পরীক্ষা দেওয়ার দিনক্ষণ ঘোষণার দাবিতে সোমবার পড়ুয়াদের একাংশ স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য বিশ্বভারতীতে এলে তাঁদের নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেন। সেই বাধা পেয়ে তারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পিছনে থাকা টিনের তৈরি বেড়া ভেঙ্গে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছে পৌঁছে যান। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই নতুন করে বিশ্বভারতীতে উত্তেজনা ছড়ায়।
বকেয়া পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণার দাবিতে যারা এদিন স্মারকলিপি জমা দিতে এসেছিলেন তাঁদের দাবি, আন্দোলনের সময় পরীক্ষা হয়নি। সেই পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
জুলাই মাসের ৮ তারিখ অন্তিম বর্ষের এই সকল পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তা ঘোষণা করা হয়নি। যে কারণে তারা আশঙ্কায় রয়েছেন পরীক্ষা দেরিতে হলে রেজাল্ট দিতেও দেরি হবে এবং তাতে তাদের সমস্যা তৈরি হবে।
পড়ুয়াদের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এখনো পর্যন্ত অন্ততপক্ষে আটটি ভবনের বহু পরীক্ষা বাকি রয়েছে। এক একটি ভবনের অধীনে একাধিক বিভাগ থাকে। এই সকল বিভাগের পরীক্ষা না হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তারা।
অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ছাত্রছাত্রীরা ২১ জুন পরীক্ষার দিন ঠিক করেছিল। কোন এক অজ্ঞাত কারণে ওই দিন পরীক্ষায় বসেনি। এই অবস্থায় কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলবে তাদের ভবনের অধ্যক্ষদের মাধ্যমে। তারপর ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে, কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার দিন ঘোষণা করবে।
Madhab Das