বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই ছাত্রীর যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল ইংরেজি বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহিতোষ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ উঠতেই তার বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, অধ্যাপকরা। তাঁকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়াড়া। এই মর্মে তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ, অধ্যাপক একাধিবার স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর যৌন হেনস্থা করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে নড়েচড়ে বসেছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে পড়ুয়াদের দাবির মুখে পড়ে অভিযুক্ত অধ্যাপককে সাময়িকভাবে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি বিভাগীয় প্রধানের কোনও কাজ করতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্রীর অভিযোগ, ওই অধ্যাপক একাধিকবার তাকে যৌন হেনস্থা করেছেন। কিন্তু, তিনি ভয়ে কাউকে বলতে পারেননি। অধ্যাপক কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে সাহস করে তিনি চলতি সপ্তাহে সেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন।
অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই ওই ছাত্রীকে নিয়ে সভা করে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ। পরে ছাত্র সংসদের তরফে ডিন অফ স্টুডেন্টদের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, অভিযুক্ত অধ্যাপককে শুধুমাত্র বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরালে চলবে না। তাকে সমস্ত রকমের প্রশাসনিক এবং পঠনপাঠন সংক্রান্ত কাজ থেকে অপসারিত করতে হবে। উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্ব থেকে অপসারিত করতে হবে। কার্যত ছাত্রদের দাবি মেনেই বিভাগীয় পদ থেকে আপাতত সরানো হয়েছে অধ্যাপককে।