আদালত অবমাননা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে আজ, মঙ্গলবার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। আর তাতে কড়া পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টকে। এমনকী বিচারপতি মন্তব্য করেন, বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়, যে এমন মন্তব্যে বিচারব্যবস্থার মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে। তবে এমন মন্তব্যে গণতন্ত্রের সৌজন্যবোধটুকু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। যদিও মামলা গৃহীত হয়নি।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইডি গ্রেফতার করেছে। তারপর আদালতের নির্দেশেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে তাঁকে ভুবনেশ্বরের এইমস–এ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর বঙ্গবিভূষণ সম্মান প্রদানের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। তাঁর প্রশ্ন, বাংলায় সরকারি–বেসরকারি এত হাসপাতাল থাকতে কেন ভুবনেশ্বরে নিয়ে যেতে হল মন্ত্রীকে? এতে বাংলাকে অপমান করা হয়েছে। তাই মামলা করা হচ্ছিল।
ঠিক কী বলেছেন বিচারপতি? মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আদালত অবমাননা করা হয়েছে বলে দাবি করে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। বিচারপতি এদিন সেখানে বলেন, ‘যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের বাইরে এই মন্তব্য করেছেন, তাই এটা আদালত অবমাননা নয়। তাঁর মন্তব্যে কিছু এসে যায় না।’
আর কী জানা যাচ্ছে? এই বিষয়ে বিচারপতি বিবেক চৌধুরী বলেন, ‘পিলার অফ ডেমোক্রেসিতে এইটুকু সৌজন্যবোধ ছিল যে, বিচারব্যবস্থা নিয়ে কিছু বলা হতো না। এখন সেটা বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। কী করা যাবে! আমরা আমাদের বিচারপতিদের অনুসরণ করি। সততায় বিশ্বাস করি। রাতে তাই নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমতে যাই। মামলাকারীর নামে কী বা আসে যায়।’