প্রায় ২৫ হাজার শূন্যপদে কেন শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না ? আদালতের প্রশ্নের মুখে রাজ্য

প্রায় ২৫ হাজার শূন্যপদে কেন শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না ? আদালতের প্রশ্নের মুখে রাজ্য

কলকাতা: প্রাথমিক-মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক স্তরে প্রায় ২৪ থেকে ২৫ হাজার শূন্যপদ রয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। ‘এত শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও সেই শূন্যপদে কেন নিয়োগ করা হচ্ছে না?’ প্রশ্ন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এ দিন নিয়োগ সংক্রান্ত একটিতে আদালতের মন্তব্য়, ‘৩৯৩৬টি শূন্যপদ রয়েছে প্রাথমিকের ক্ষেত্রে, যেখানে আদালতের কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই সেখানে কেন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না, বোধগম্য নয়।’

আগামী ১৭ অগাস্টের মধ্যে স্কুলশিক্ষা দফতরের অধিকর্তাকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ‘কেন ৩৯৩৬ পদে নিয়োগ করা যাচ্ছে না ?’ জানাতে হবে হলফনামা দিয়ে। শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘রাজ্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বারবার বলছেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় নিয়োগ করা যাচ্ছে না। অথচ এই ২৪ থেকে ২৫ হাজার শূন্যপদে আদালতের কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। এই ধরণের মন্তব্যের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আদালতকে রাজনৈতিক আঙিনায় টানার চেষ্টা করলে আদালত উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।’

উল্লেখ্য, এসএসসির মেধাতালিকা ঘিরে নতুন দুর্নীতির অভিযোগ। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত মন্ত্রী-কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর বেতনের প্রথম কিস্তির টাকা আজ তুলে দেওয়া হয় ববিতা সরকারের হাতে। অন্যদিকে, ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেটে উত্তীর্ণরা নিয়োগের দাবিতে এদিন পথে নামেন।

এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে কোটি কোটি টাকা, সোনা উদ্ধার হচ্ছে। চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক দলগুলিও পথে নেমেছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে নতুন এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। এবার বড়সড় প্রশ্ন উঠল এসএসসির ১৪ জুলাইয়ের মেধাতালিকা ঘিরে। তা নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন মামলাকারীরা। নতুন করে মামলার অনুমতি দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার প্রেক্ষাপটে এসএসসিকে নিয়ম মেনে, নম্বর বিভাজন-সহ মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। গত ১৪ জুলাই নতুন মেধাতালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। কিন্তু মামলাকারীদের আইনজীবী এদিন হাইকোর্টে অভিযোগ করেন, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষণের নিয়মই মানা হয়নি। এমনকি মেধাতালিকার বাইরে থেকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। মেধাতালিকায় হাইজাম্প ঘটিয়ে অনেককে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নতুন মামলা করার অনুমতি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষিকার চাকরি গেছে, শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। ২ কিস্তিতে ফেরাতে হচ্ছে ৪ বছরে চাকরি-জীবনে পাওয়া বেতনের অর্থ। প্রথম কিস্তির ৭ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৯৯ টাকা এদিন তুলে দেওয়া হয় ববিতা সরকারের হাতে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানাবে কলকাতা হাইকোর্ট।