শিক্ষক-নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমে নিজেরাই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপি কর্মীরা!

শিক্ষক-নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমে নিজেরাই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপি কর্মীরা!

রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ : শিক্ষক-নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমে নিজেরাই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপি কর্মীরা! মুর্শিবাদাবাদের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষের অনুগামীদের সঙ্গে জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারে ঘনিষ্ঠদের বচসা। স্লোগান-পাল্টা স্লোগান। বচসা থেকে হাতাহাতিতে জড়ালেন ২ গোষ্ঠীর অনুগামীরা। লোক ঢুকিয়ে তৃণমূলের চক্রান্ত, দাবি জেলা সভাপতির। নিজেদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, পাল্টা তৃণমূল।

ঠিক কী ঘটেছে

স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিবাদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের বিজেপি জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারে মনোমালিন্য বেশ কিছুদিনের। শিক্ষক-নিয়োগে দুর্নীতি ঘিরে সারা রাজ্যজুড়ে বিজেপির যে প্রতিবাদ কর্মসূচি সেটা মাথায় রেখে মুর্শিদাবাদেও এদিন মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মিছিলে কে আগে থাকবেন, তা নিয়েই দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। প্রথমে স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। যা শেষপর্যন্ত গিয়ে পৌঁছায় হাতাহাতিতে! যদিও বিজেপির মিছিলে এই হাতাহাতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। দলের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন, এমনটা মানতে নারাজ মুর্শিদাবাদের বিজেপির জেলা সভাপতি। শাখারভ সরকারের দাবি, তৃণমূলের চক্রান্তের জেরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও গোটা ঘটনায় বিজেপির নিজেদের দ্বন্দ্বই সামনে চলে এসেছে বলে পাল্টা তৃণমূলের।

বিজেপির মিছিল ঘিরে ধুন্ধরমার কলকাতায়

SSC দুর্নীতিকাণ্ডের প্রতিবাদে হাজরা মোড়ে বিজেপির বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে। কর্মসূচি শুরুর আগেই সুকান্ত মজুমদারকে রীতিমতো হাইজ্যাক করে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। বিজেপির দাবি, সুকান্ত মজুমদার-সহ ৩০ জন নেতা, কর্মীকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে, হাজরা মোড়ে বিক্ষোভস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায় কলকাতা পুলিশের কর্মীদের। সন্ধের দিকে সুকান্ত মজুমদারদের লালবাজার থেকে ছাড়ার সময়ও পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের আরও এক দফা ধস্তাধস্তি হয়।

বিকেলের দিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হাজরা মোড়ে পৌঁছনোর পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি কার্যত গাড়ি থেকেই ‘চোর ধরো, জেল ভরো’ পোস্টার বের করে দেখাতে থাকেন। তিনি গাড়ি থেকে নামার চেষ্টা করলেও পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। গাড়ি থেকে নামার চেষ্টা করেও বাধা পেয়ে কার্যত গাড়ির বনেটে দাঁড়িয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের দলদাসের মতো আচরণ করছে।’ পুলিশে পুলিশে আগে থেকেই গোটা এলাকা ছয়লাপ ছিল। গাড়ি থেকে রসুকান্ত মজুমদার সহ বাকিদের নামতে না দিয়ে তাদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় বলেই গেরুয়া শিবিরের পক্ষে অভিযোগ। যেখানে যাওয়ার পথে বিস্ফোরক সুরে সুকান্ত মজুমদারের সংযোজন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা চুরি করেছেন।’