মদ্যপ অবস্থায় মেট্রো চালানোর অভিযোগ, খুলল না গেট, বরাহনগরে বিক্ষোভ যাত্রীদের

মদ্যপ অবস্থায় মেট্রো চালানোর অভিযোগ, খুলল না গেট, বরাহনগরে বিক্ষোভ যাত্রীদের

কলকাতা মেট্রোতে ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে গেল। আর তার জেরে আতঙ্কে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে এবার যান্ত্রিক গোলযোগ বা আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেনি। মঙ্গলবার রাতের মেট্রো মদ্যপ অবস্থায় চালালেন চালক। এই অভিযোগ সামনে আসতেই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে। মঙ্গলবার রাতে নোয়াপাড়া স্টেশন এসে গেলেও না মেট্রো দাঁড়াল, না তার দরজা খুলল।

ঠিক কী ঘটেছে মেট্রো রেলে?‌ যাত্রীদের সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে গেট খোলা রেখেই বরাহনগর পর্যন্ত ছুটে চলে মেট্রো রেল। এমনকী নোয়াপাড়া স্টেশনে মেট্রোর গেট না খোলায় নামতে পারেননি একাধিক যাত্রী। আর তার পরেই গেট খোলা অবস্থাতেই বরাহনগর পর্যন্ত ছুটে চলে ওই মেট্রো! বরাহনগরে নেমে পড়েন যাত্রীরা। সেখানেই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। চালক অসংলগ্ন অবস্থায় ছিল বলেই এই কাণ্ড ঘটেছে। এমনই অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা।

কোন মেট্রোয় ঘটল এমন ঘটনা?‌ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী একটি মেট্রো নোয়াপাড়া স্টেশনে দাঁড়ায়নি। এমনকী দমদমের পর নোয়াপাড়া স্টেশন চলে গেলেও মেট্রোর গেট খোলেনি। তার জেরে ব্যাপক দুর্ভোগের মুখে পড়েন যাত্রীরা। আর ওই মেট্রোই গেট খোলা রেখে বরাহনগর পর্যন্ত ছুটে চলে যায়। মদ খেয়ে মেট্রো চালাচ্ছিলেন চালক বলে অভিযোগ তোলেন যাত্রীরা।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ নোয়াপাড়া পেরিয়ে বরাহনগর স্টেশনে যখন মেট্রো দাঁড়ায় তখন মেট্রো রেকের দরজা খোলে। তৎক্ষণাৎ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। তাঁরা স্টেশনেই তুমুল চেঁচামিচি শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে বরাহনগর মেট্রো স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গৌড়চন্দ্র আধিকারিকের কাছে বিক্ষোভকারী যাত্রীরা অভিযোগপত্র জমা দেন। ঘটনাস্থলে আরপিএফ পৌঁছলে তাঁদের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন যাত্রীরা। কী করে মদ্যপ অবস্থায় মেট্রো চালালেন ওই চালক?‌ প্রশ্ন তোলেন যাত্রীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ চলে আসে। বিক্ষোভ সামলানোর চেষ্টা চলে। তবে ওই চালক মদ খেয়ে ট্রেন চালাচ্ছিলেন কিনা তার এখনও সঠিক প্রমাণ মেলেনি। এই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার রাতে প্রায় ১৫ মিনিট আপ লাইনে মেট্রো চলাচল বন্ধ ছিল।