অর্পিতার পণ্ডিতিয়া রোডের ফ্ল্যাটে হাতুড়ি, চাবিওয়ালা নিয়ে হাজির ED

অর্পিতার পণ্ডিতিয়া রোডের ফ্ল্যাটে হাতুড়ি, চাবিওয়ালা নিয়ে হাজির ED

অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বালিগঞ্জের পণ্ডিতিয়া রোডের ফ্ল্যাটে ফের হানা দিল ইডি। বৃহস্পতিবার চাবিওয়ালা ও হাতুড়ি নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে যান ইডির আধিকারিকরা। মঙ্গলবার দীর্ঘক্ষণ এই ফ্ল্যাটে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন গোয়েন্দারা। ইডির তৎপরতা দেখে অনেকের অনুমান, এই ফ্ল্যাটেও টাকা বা সোনা রয়েছে বলে নিশ্চিত তদন্তকারীরা।

গত মঙ্গলবার সাত ঘণ্টা চেষ্টা করেও পণ্ডিতিয়া রোডের ফ্ল্যাটে ঢুকতে পারেননি ইডির গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটটি এক সময় অর্পিতার নামে ছিল। পরে বেশ কয়েকবার হাতবদল হয়েছে। যদিও ফ্ল্যাটটি অর্পিতারই দখলে ছিল। এই নিয়ে জটিলতার জেরে মঙ্গলবার ফিরে আসেন ইডির আধিকারিকরা। এদিন সকালে প্রথমে রবীন্দ্রসরোবর থানায় গিয়ে ফ্ল্যাটটির মালিকানা নিয়ে নিশ্চিত হন তারা। তার পর তাঁরা হাজির হন পণ্ডিতিয়া রোডের ফোর্ট ওয়েসিস আবাসনের ৬ নম্বর ব্লকের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে। সঙ্গে ছিল একটি হাতুড়ি ও একজন চাবিওয়ালা।

আজ ওই ফ্ল্যাটে যে কোনও মূল্যে ইডির আধিকারিকরা ঢুকতে মরিয়া বলে মনে করা হচ্ছে। আর এতেই প্রশ্ন উঠছে, ওই ফ্ল্যাটে মূল্যবান সামগ্রী রয়েছে বিলে কি নিশ্চিত গোয়েন্দারা?

ইডির তদন্তকারীদের উপস্থিতির জন্য আবাসনটির ওই ব্লক ঘিরে রয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। ওই বহুতলে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছেন কলকাতার পুলিশের বেশ কয়েকজন আধিকারিকও। কী কারণে তাঁরা সেখানে রয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি।

মঙ্গলবার বেলা ১২.৩০ মিনিট নাগাদ পণ্ডিতিয়া রোডের ওই আবাসনে পৌঁছন ইডির গোয়েন্দারা। এর পর ওই ফ্ল্যাটের মালিকের খোঁজ শুরু করেন তাঁরা। আবাসনের কর্মী ও আধিকারিকরা জানান ফ্ল্যাটের মালিক স্বাতী ঝুনঝুনওয়ালা নামে এক মহিলা। কিন্তু তাঁকে কেউ কোনওদিন প্রত্যক্ষ করেননি। এমনকী ২০১২ সালে ওই ফ্ল্যাট কেনার পর থেকে ১০ বছরে তার রক্ষাণাবেক্ষণ বাবদ প্রদেয় অর্থ শোধ করা হয়নি। যার পরিমান ৫ লক্ষ টাকার বেশি। ওই ফ্ল্যাটের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের কাছে সমস্ত ফ্ল্যাট মালিকের ফোন নম্বর ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর রয়েছে। নম্বর নেই শুধু স্বাতী ঝুনঝুনওয়ালার।

এর পর ফ্ল্যাটটির মালিকের খোঁজ পেতে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ শুরু করেন ইডির গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, যেহেতু এই ফ্ল্যাট পার্থ বা অর্পিতার নামে নয় ফলে দরজা ভেঙে ঢোকার পর ভিতরে বেআইনি কিছু না পাওয়া গেলে তাদের আইনি জটিলতায় পড়তে হতে পারে। তাই ফ্ল্যাট মালিকের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। বেলা ১২.৩০ মিনিট থেকে প্রায় ৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফ্ল্যাটমালিকের দেখা পাননি তারা।