#ভাইরাল ভিডিও শৈশব মানুষের জীবনে কাটানো সেরা একটি সময়। এটা এমন এক অধ্যায় যখন একদিকে মায়ের বকুনিতে যেমন মন খারাপ হয়ে যায় ঠিক তেমনই বকার পরে মায়ের আদরটাও খুব স্পেশ্যাল হয়ে ওঠে। ছোটবেলার এই সময়টা যখন স্কুল গিয়ে, খেলাধুলা করে কাটানোর কথা তখনই অসহায় বাবার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল মাত্র ৭ বছর বয়সি এক সন্তান। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এমনই এক ভিডিও যেখানে ওই শিশুকে বলতে শোনা গেছে তাঁর জীবনের চরম কষ্টের কাহিনি।
দরিদ্রতা বোধ এরই নাম, ছোটবেলার রঙিন জীবন ছেড়ে Zomato তে ডেলিভারি বয়ের জীবন বেছে নিয়েছে সে। রাহুল মিত্তল নামক এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন ‘এই ৭ বছরের শিশুটি তাঁর বাবার কাজ করছে কারণ তার বাবা একটি দুর্ঘটনার দরুন এই কাজ করতে পারছেন না।’ তবে পরিস্থির চাপে পড়ে পড়াশোনা বন্ধ করে নি সে। সকালবেলা স্কুলে গিয়ে, সন্ধ্যা ৬টার পর ডেলিভারি বয়ের কাজ করে সে। বাচ্চাটির এই অসাধারণ কৃতিত্বকেও সাহস এবং অনুপ্রেরণা জোগানোর জানিয়েছেন ওই ট্যুইটার ব্যবহারকারী।
ভিডিওটিতে এক হাতে ফোন আর এক হাতে কিছু চকলেট নিয়ে ওই টুইটার ব্যবহারকারীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে ওই শিশুকে। সেখানে সে জানায় যে বাবার অ্যাক্সিডেন্টের পর সে তাঁর বাবার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে এবং তাই প্রতিদিন স্কুলের পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সে সাইকেলে করে এই হোম ডেলিভারির কাজ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চূড়ান্ত ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। এত ছোট বয়সে এত খানি মনের জোড়কে বাহবা জানিয়েছেন সকলেই।
This 7 year boy is doing his father job as his father met with an accident the boy go to school in the morning and after 6 he work as a delivery boy for @zomato we need to motivate the energy of this boy and help his father to get into feet #zomato pic.twitter.com/5KqBv6OVVG
— RAHUL MITTAL (@therahulmittal) August 1, 2022
ভিডিওটিতে Zomato সংস্থাকেও ট্যাগ করেছিলেন রাহুল মিত্তল নামক ওই ট্যুইটার ব্যবহারকারী। যার ফলস্বরুপ ভিডিওটি দেখা মাত্রই ‘Zomato Care’- এর তরফে মিলেছে জবাবও। রাহুল মিত্তলের কাছে ওই শিশুটির বাবার ফোন নম্বর চেয়েছে Zomato। কথায় বলে ‘যার শেষ ভালো তার সব ভাল’। এত অসহায়তাএবং কষ্টের মাঝেই Zomato সংস্থার ওই জবাব যেন সত্যিই এক বড় আশার আলো।