ডেলিভারি কর্মীদের সমস্যার সমাধান চাই, শ্রম দফতরের হস্তক্ষেপ দাবি সিটুর

ডেলিভারি কর্মীদের সমস্যার সমাধান চাই, শ্রম দফতরের হস্তক্ষেপ দাবি সিটুর

#কলকাতা: বিভিন্ন অ্যাপ নির্ভর সংস্থায় এখন কাজ করে বহু ডেলিভারি বয় এবং গার্ল। সাধারণ মানুষ বেশ অভ্যস্থ হয়ে পড়েছে এই ব্যবস্থাতে। মোবাইলে অর্ডার করে দিলেই কিছুক্ষণের মধ্যেই খাবার এসে হাজির হয় টেবিলে। গ্রাহকদের সুবিধা হলেও দৈনন্দিন বেশকিছু সমস্যায় পড়তে হয় এই কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের। তা ছাড়াও অসংগঠিত থাকার ফলে সেই সমস্যা নিয়ে পদক্ষেপ করাও সম্ভব হচ্ছিল না। এ বার সমস্যা সমাধানের জন্য শ্রম দফতরের হস্তক্ষেপ দাবি করল সিটু। এই সমস্যার সমাধান সূত্র খুজতে বুধবার নব মহাকরণে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন সিটুর প্রতিনিধি দল।

সমস্যার মধ্যে অন্যতম সমস্যা পার্কিং সমস্যা। নির্দিষ্ট সময়ে গ্রাহকদের খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে জায়গা বেজায়গায় পার্কিং করতে হয় ডেলিভারি কর্মীদের। আর যেখানে সেখানে পার্কিং করার ফলে পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের। দ্বিতীয়ত, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে একদিকে যেমন ডেলিভারি কর্মীদের খরচ বেড়েছে অন্যদিকে কমিশনও বাড়ানো হয়নি সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে তাঁদের।

সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, “এই প্রথম ডেলিভারি কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট, শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন শ্রমমন্ত্রী। বিভিন্ন অ্যাপ নির্ভর ডেলিভারি কোম্পানিগুলোতে কর্মরত শ্রমিকদের সমস্যা এবং দাবি নিয়েও এই প্রথম রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হল কোনও ইউনিয়নের। সিটুর অ্যাপ বেসড ডেলিভারি অ্যান্ড গিগ ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার নবমহাকরণে শ্রমমন্ত্রীকে ডেপুটেশন দেয়। ও তাঁদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক।

সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ডেলিভারি শ্রমিকদের রোজ পার্কিংয়ের সমস্যায় পড়তে হয় এবং এর ফলে পুলিশি জুলুমের শিকার হতে হয় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী। সংগঠনের দাবি, কলকাতার প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেলিভারি শ্রমিকদের জন্য নির্দিষ্ট পার্কিং জোন বানাতে হবে। কোম্পানিগুলো যখন তখন একতরফা ভাবে ডেলিভারি শ্রমিকদের আইডি ব্লক করে দেয়, ফলে তাঁরা কাজ করতে পারে না। পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি সত্বেও কমিশন না বাড়ানোয় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের।

সংগঠনের দাবি, এই বিষয়গুলি নিয়ে শ্রমমন্ত্রীকে সংশ্লিষ্ট সংস্থার ম্যানেজমেন্টের প্রতিনিধিদের সাথে সংগঠনের প্রতিনিধিদের রেখে ত্রিপাক্ষিক আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে। সংগঠনের দাবিতে সহমত হয়ে ত্রিপাক্ষিক আলোচনা আহ্বান করার আশ্বাস দেন মন্ত্রী। যদি এই আলোচনা সফল হয়। তহলে শুধু এই রাজ্য নয় গোটা দেশেই তা হবে প্রথম উদ্যোগ।” এদিন এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন, ইউনিয়নের সভাপতি সৌম্যজিৎ রজক, সাধারণ সম্পাদক সাগ্নিক সেনগুপ্ত, ডেলিভারি শ্রমিকদের প্রতিনিধি তথা ইউনিয়নের সহ সভাপতি প্রশান্ত ঘোষ এবং আরেক সহ সভাপতি সুদীপ সেনগুপ্ত।

UJJAL ROY 

Published by:Shubhagata Dey

(Source: news18.com)