জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিয়ম মানুষেরই জন্যে। কিন্তু কখনও কখনও মানুষের চেয়েও বড় হয়ে যায় নিয়ম। যেমন ঘটল একটি সংস্থায়। সেখানে গত ৭ বছর ধরে কাঁটায় কাঁটায় অফিসে ঢোকা এক কর্মীর মাত্র একদিন কয়েক মিনিট দেরি করার ‘অপরাধে’ চলে গেল চাকরি। কোনও সংস্থা থেকে চাকরি চলে যাওয়ার নানা কারণ থাকতে পারে। নানা ঘটনা ঘটে। কোনও কর্মীর চাকরি চলে গেলে সেটাকে যুক্তিতে দাঁড় করাবার জন্য সাধারণত নানা তথ্য থাকে নিয়োগকারীর হাতে। কখনও কর্মীর অভদ্র আচরণ, কখনও আবার কোম্পানির কস্ট-কাটিং পরিকল্পনার শিকার হয়ে পড়া। তবে বেশ কিছু কোম্পানি যে কোনও সময়েই নিয়মানুবর্তিতাকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। তবে, কর্মীদের লেট করে অফিসে ঢোকা বা বিলম্বে আসার কারণে বহু অফিসেই বেতন কেটে নেওয়ার রীতি থাকে। কিন্তু দেরি করে অফিসে ঢোকার জন্য চাকরি থেকে একেবারে বরখাস্ত হওয়ার মতো ঘটনা খুব একটা শোনা যায় না!
একটি সংস্থার এক কর্মী জানান, দেরি করার জন্য তাঁদেরই এক সহকর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে! যাঁর চাকরি চলে গিয়েছে, তিনি গত ৭ বছরে একদিনও দেরি করেননি। অথচ, কর্মজীবনে মাত্র একদিন ২০ মিনিট দেরিতে অফিসে ঢোকার জেরে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে বরখাস্ত করার ঘটনায় তাঁরা রীতিমতো হতবাক! কোথায় ঘটনাটি ঘটেছে সেটা অবশ্য পরিষ্কার জানা যায়নি। যদিও আশার কথা হল, ওই অফিসের কর্মীরা তাঁদের সহকর্মীর এই দুর্ভাগ্যের সমব্যথী এবং তাঁরা বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো প্রতিবাদীও। তাঁরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, যতক্ষণ না তাঁদের ওই কর্মীকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে, ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলন জানিয়ে যাবেন। যদিও শোনা যাচ্ছে, ওই কর্মীটির কিছু আর্থিক সমস্যা ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে না সংস্থাটি। বরং তারা আগের কর্মী যে বেতন নিতেন তার চেয়ে কম বেতনে নতুন কোনও কর্মীকে নিয়োগ করবে।
কর্মীদের দেরি করার ক্ষেত্রে কোনও কোনও মহলে নানা ঘটনা শোনা যাচ্ছে। যেমন স্নোফলের জন্য একবার একট্ অফিসের কয়েকজনের দেরি হয়েছিল। যদিও সেবার কোনও কর্মীকেই বরখাস্ত করা হয়নি।
(Source: zeenews.com)