অক্ষয়কুমারকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ, জাদুঘর গুলি কাণ্ডের জের

অক্ষয়কুমারকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ, জাদুঘর গুলি কাণ্ডের জের

পার্ক স্ট্রিটে তাঁর বন্দুকের গুলিতে কেঁপে উঠেছিল শনিবারের সন্ধ্যা। তাঁর গুলিতে মৃত্যু হয় সিআইএসএফ–এর এএসআই রঞ্জিতকুমার সারেঙ্গির। গুলিবিদ্ধ হন সুবীর ঘোষ। এই ঘটনায় অক্ষয়কুমার মিশ্রকে ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। অক্ষয়ের গুলি চালানোর পিছনে কারণ হিসেবে তাঁর দীর্ঘ মানসিক অবসাদের কথা বলা হলেও পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সেখানেই জানতে চাওয়া হবে প্রকৃত কারণ কী?‌

ঠিক কী ঘটেছিল জাদুঘরে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার ভরসন্ধ্যেবেলা ভারতীয় জাদুঘরে সিআইএসএফের ব্যারাকে একে–৪৭ রাইফেল থেকে পরপর ১৫ রাউন্ড গুলি চলে। সুবীর ঘোষ যে গাড়িতে ছিলেন, সেই গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন অক্ষয়কুমার মিশ্র। তাঁর ছোড়া গুলিতে রঞ্জিতকুমার সারেঙ্গি নামে অন্য এক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের মৃত্যু হয়। জখম হন আরও একজন। গুলিতে এফোঁড়–ওফোঁড় হয়ে যায় পুলিশের গাড়িও।

ঠিক কী অভিযোগ ধৃত জওয়ানের?‌ পুলিশকে জওয়ান অক্ষয়কুমার অভিযোগ করেন, গত দু’মাস ধরে ঊর্ধ্বতন অফিসারের হাতে হেনস্থার শিকার হচ্ছিলেন। সিআইএসএফের অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার সুবীর ঘোষ নিয়মিত উত্ত্যক্ত এবং মানসিক নির্যাতন করতেন। ছুটিও মিলছিল না। তার সঙ্গে সহকর্মীদের টিপ্পনীতে মাথার ঠিক ছিল না। গুলি চলার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় কলকাতা পুলিশের বাহিনী। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা জাদুঘর চত্বরে শুরু করেন অপরেশন মোজো।

তারপর সেখানে কী ঘটেছিল?‌ জানা গিয়েছে, টানা দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় অক্ষয়কে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। তাঁকে নিয়ে নিউমার্কেট থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আজ, রবিবার সকালে তাঁকে নিউ মার্কেট থানা থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর আদালতে তোলা হয়। অক্ষয়কে আদালতে হাজির করা হলে, তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।