#লখনউ: বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও তার মেয়ে তার প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। মেয়ের এমন কাজে ক্ষুব্ধ বাবা একটি হাসপাতালের একজন ওয়ার্ডবয়কে সুপারি দেয় পটাশিয়াম ক্লোরাইডের উচ্চ ডোজ ইনজেকশন দিতে মেয়েকে। যার ফলে মেয়ের স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি হয় এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির বাবা নবীন কুমার, ওয়ার্ডবয় নরেশ কুমার এবং হাসপাতালের এক মহিলা কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। (Crime News)
পুলিশের দাবি, নবীন কুমার তার মেয়েকে শুক্রবার গভীর রাতে কঙ্করখেড়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। কিন্তু কয়েক ঘন্টা পরে তিনি তাকে মোদিপুরমের ফিউচার প্লাস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন যেখানে রাতে মেয়েটির স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় চিকিৎসকরা দেখতে পান যে, মেয়েটিকে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করার পর, যে ব্যক্তি ইনজেকশনটি দিয়েছিল তাকে নরেশ কুমার বলে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে নরেশ কুমার পুলিশকে জানিয়েছে যে, মেয়েটির বাবাই তাকে হত্যা করার জন্য এক লাখ টাকা দিয়েছিলেন। একজন ডাক্তারের পরিচয় দিয়ে তিনি মহিলা কর্মচারীর সাহায্যে আইসিইউতে প্রবেশ করেন এবং ইনজেকশন দেন। তথ্যের ভিত্তিতে ওই মহিলা কর্মচারী ও মেয়েটির বাবা, যিনি একজন ব্যবসায়ী বলে জানা গিয়েছে, তাদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
নবীন কুমার পরে পুলিশকে বলেছিলেন যে তার মেয়ের একজন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এবং অনুরোধের পরেও সম্পর্ক ছিন্ন করতে রাজি হচ্ছিল না। মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করার সময় তিনি ডাক্তারদের বলেছিলেন যে, সে ছাদে বাঁদরের ভয় পেয়ে সেখান থেকে পড়ে যায়। কিন্তু আসলে, সে ছাদ থেকে লাফ দিয়েছিল। পুলিশ নরেশ কুমারের কাছ থেকে কিছু ওষুধ, পটাশিয়াম ক্লোরাইড এবং ৯০ হাজার টাকা-সহ একটি ভাঙা ইনজেকশনও উদ্ধার করেছে।