আগে বাণিজ্যিক সম্পত্তির ওপরে জিএসটি ছিল
এর আগে বাণিজ্যিক সম্পত্তি যেমন অফিস কিংবা কোনও ছোট জায়গা ভাড়া কিংবা ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে তা জিএসটি অধীনে ছিল। ব্যক্তিগত আবাসিক সম্পত্তি ভাড়া বা ইজারার (লিজ) ক্ষেত্রে কোনও জিএসটি ছিল না।
জিএসটির নতুন নিয়ম
জিএসটির নতুন নিয়ম অনুসারে একজন জিএসটি-নথিভুক্ত ভাড়াটে রিভার্স চার্জ মেকানিজমের অধীরে এই কর দিতে দায়বদ্ধ। ওই ভাড়াটে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিটের অধীনে যে জিএসটি দিচ্ছেন, তা ডিডাকশন হিসেবে দাবি করতে পারবেন।
একজন জিএসটি নথিভুক্ত ব্যক্তি যাঁর ব্যবসা কিংবা অন্য কোনও পেশা রয়েছে, তাঁদেরকেই মালিককে দেওয়া ভাড়ার ওপরে ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। ভাড়া করা আবাসিক সম্পত্তি থেকে পরিষেবা প্রদান করলে সেই ব্যক্তি ১৮ শতাংশ হারে কর দিতে দায়বদ্ধ থাকবেন। জিএসটি কাউন্সিলের ৪৭ তম বৈঠকে এই নতুন পরিবর্তন আনা হয়েছে।
গেস্ট হাউজে জিএসটি মাস্ট
গেস্ট হাউজ কিংবা কর্মীদের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহারের জন্য নেওয়া সম্পত্তির ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। যার জেরে কর্মীদের বিনামূল্যে বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে নির্দিষ্ট কোম্পানিকে আরও বেশি টাকা খরচ করতে হবে।
সম্পত্তির মালিক জিএসটি দিতে দায়বদ্ধ নয়
এই কর তখনই লাগু হবে, যখন ভাড়াটিয়া জিএসটির অধীনে নথিভুক্ত হবেন এবং তিনি জিএসটি রিটার্ন ফাইলে দায়বদ্ধ হবেন। তবে যিনি ভাড়া দিচ্ছেন অর্থাৎ সম্পত্তির মালিক জিএসটি দিতে দায়বদ্ধ নন। যদি কোনও সাধারণ বেতনভোগী ব্যক্তি বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট ভাড়া কিংবা লিজে দেন, সেক্ষেত্রে জিএসটি দিতে হবে না।
কারা অন্তর্ভুক্ত, কারা নয়
এখনও পর্যন্ত জিএসটিতে নথিভুক্ত ব্যক্তি থেকে কর্পোরেট সংস্থা। জিএসটি রেজিস্ট্রেশন তখনই বাধ্যতামূলক হবে, যখন বার্ষিক টার্নওভার একটি নির্দিষ্টসীমার বেশি হবে। জিএসটি আইনের অধীনে এই সীমার প্রকৃতি
স্থান অনুসারে পরিবর্তত হয়। কোনও ব্যক্তি শুধুমাত্র পরিষেবা প্রদান করলে সেই ব্যক্তির সীমা বছরে ২০ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে পণ্য সরবরাহকারীর সীমা ৪০ লক্ষ টাকা। উত্তর-পূর্বে রাজ্যগুলিতে এই সীমা আবার কম।