সকালে ঘুম থেকে উঠেই চাই ধোঁয়া ওঠা এক কাপ গরম চা। তবেই ঘুমের রেশ কাটবে। মেজাজ হবে ফুরফুরে। কিন্তু এই চায়ের জন্যেই শরীর খারাপ হচ্ছে না তো! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খালি পেটে চা শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে। এটা শুধু হজমশক্তিকে প্রভাবিত করে তাই নয়, শরীরকেও ডিহাইড্রেটেড করে দিতে পারে।
তাছাড়া খালি পেটে চা পান অন্ত্রেও খারাপ প্রভাব ফেলে। কিছু ক্ষেত্রে মাথা ব্যথাও হয়। চায়ে ট্যানিনের উপস্থিতি খাবার থেকে আয়রনের মতো পুষ্টির শোষণে বাধা দেয়। তাহলে চা পানের সঠিক সময় এবং উপায় কী?
সকালে খালি পেটে চা: বিপাকের উপর ভিত্তি করে দুধ চা এবং দুধ ছাড়া চায়ের আলাদা প্রভাব রয়েছে। খালি পেটে এক কাপ চা দিয়ে দিন শুরু করলে পাকস্থলীতে অ্যাসিড তৈরি হতে পারে, প্রভাবিত হতে পারে হজম প্রক্রিয়া। ফলে সারাদিন অস্বস্তিতে কাটানো অস্বাভাবিক নয়। চায়ের এই প্রভাব কমানোর উপায় এখানে আলোচনা করা হল।
সকালে চা পান ভাল না খারাপ: চায়ের সঙ্গে ভারতীয়দের আলাদা প্রেম। সকালে এক কাপ চা পেটে না পড়লে দিন শুরুই হবে না। অঞ্চলভেদে চায়ের স্বাদও বিভিন্নরকম। দেশের উত্তরাঞ্চলে, সকালের চা সুগন্ধি মশলা, গরু বা মহিষের দুধ দিয়ে তৈরি করা হয় যেখানে ভারতের পূর্বাঞ্চলে, চায়ের আচারটি দুধ ছাড়া কালো বা সবুজ চা পাতা দিয়ে তৈরি, চিনি দিয়ে পরিবেশন করা হয়। দুধ বা লেবু, দুটোই অ্যাসিডিটি বাড়ায়। হজমে প্রভাব ফেলে। এমনিতেই চায়ে থাকা ক্যাফেইনের অ্যাসিডিক প্রকৃতি রয়েছে। সেটা লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড এবং দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিডের মিশলে পেট ফুলে যাওয়া, অ্যাসিড রিফ্লাক্স, পেটে ব্যথা হতে পারে। পেটের আলসারে ভুগছেন এমন লোকেদের উপর এর প্রভাব মারাত্মক।
কখন, কীভাবে চা খাওয়া উচিত: চা ছাড়া যাঁদের দিন শুরু হয় না, এমন ব্যক্তিদের জন্য কিছু সহজ টিপস রইল। যা খালি পেটে চা পানের ফলে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলোকে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। সঙ্গে বের করে দিতে হবে টক্সিক পদার্থ। তাই ঘুম থেকে উঠে চা খাবার আগে অন্তত দু’ গ্লাস জল খেতে হবে। রাতে এক মুঠো বাদাম ভিজিয়ে রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়। সকালে সেগুলো খোসা ছাড়িয়ে খেতে হবে। এতে ফাইটিক অ্যাসিডের উপস্থিতি দূর হবে। ড্রাই ফ্রুটও নেওয়া যায়। এটা শরীরকে পুষ্টি যোগাবে। এবার চা খাওয়া যায়। তবে চিনি দিয়ে নয়। তার বদলে গুড় বা মধু দিয়ে চা পানের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।