
#নয়াদিল্লি: বার্ধক্য একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া যা ধীরে ধীরে ঘটতে থাকে। অনেক সময় ত্বক সময়ের আগেই বার্ধক্যের লক্ষণ দেখায়। ত্বকের ধরন কীরকম, ব্যক্তির বয়স কত এবং কোন জলবায়ুতে সে বাস করছে তার উপর নির্ভর করে বার্ধক্যের আগমন। তবে বার্ধক্য রোধ করতে যদি কোনও স্কিন কেয়ার ব্যবহার করতে হয় তাহলে তার আগে ত্বক সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান থাকা দরকার। যেমন ত্বকে সূক্ষ্ম বা ফাইন লাইন দেখা যায়, আবার বলিরেখাও দেখা যায়। দু’টো কিন্তু আলাদা।
বলিরেখা কাকে বলে?
বলিরেখা রাইটাইডস নামেও পরিচিত। এগুলি প্রধানত ত্বকের ভাঁজ। বার্ধক্য দেখা দিলে, কোলাজেন এবং ইলাস্টিনের প্রাকৃতিক উৎপাদনের অভাবে বলিরেখা দেখা যায়। এই দুই উপাদানের অভাব হলে ত্বক আলগা হয়ে যায় এবং কুঁচকে যায়। ত্বকের প্রতিরোধ ক্ষমতা এই সময় কমে আসে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ত্বক ধীরে ধীরে তার দৃঢ়তা এবং টানটান ভাব হারায় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আর্দ্রতাও হারিয়ে ফেলে।
কীভাবে বলিরেখা প্রতিরোধ করব আমরা?
প্রথমেই সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক বাঁচাতে হবে।
যদি কোনও পণ্য ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে রেটিনয়েড যুক্ত অর্থাৎ ভিটামিন এ যুক্ত প্রোডাক্ট ত্বকের জন্য খুব ভাল হবে।
ত্বক সব সময় আর্দ্র থাকা খুব দরকার। তার জন্য একটি ভাল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ভিতর থেকে আর্দ্র থাকার জন্য বেশি করে জল পান করতে হবে।
এছাড়াও ওয়াটার বেসড স্লিপিং মাস্কও ত্বক ভিতর থেকে আর্দ্র রাখতে সক্ষম। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে যা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে। ত্বকে কোলাজেনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। কোলাজেন ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।
ফাইন লাইন কাকে বলে?
ত্বকের পাতলা অংশে যখন ছোট ছোট অগভীর দাগ দেখতে পাওয়া যায় তখন তাকে ফাইন লাইন বলে। অনেক সময় অতিরিক্ত ফেসিয়াল করলেও ফাইন লাইন দেখা যায়। তবে এটি বলিরেখার মতো এত বেশি চোখে পড়ে না।
ফাইন লাইন কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
প্রথম ধাপ হল হাইড্রেটেড থাকা এবং নিয়মিত পরিমাণে প্রতিদিন জল পান করা। অ্যান্টি-রিঙ্কল ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। সূর্যের আলো থেকে ত্বক বাঁচিয়ে রাখতে হবে।পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। ঘুম ভাল না হলে স্ট্রেস থেকেও সূক্ষ্ম রেখা দেখা দিতে পারে ত্বকে।