শুনেছেন না কি? ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ১ শতাংশ জনতাই হবেন কোটি টাকার মালিক!

শুনেছেন না কি? ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ১ শতাংশ জনতাই হবেন কোটি টাকার মালিক!

কলকাতা: এইচএসবিসি হোল্ডিংস পিএলসি-র (HSBC Holdings Plc) একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যায় মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা বর্তমানে এশিয়ার শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে ছাড়িয়ে যাবে।

এই ফিনান্সিয়াল হাবটি এশিয়া-প্যাসিফিকের তালিকার শীর্ষে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরের পরেই তালিকায় থাকবে অস্ট্রেলিয়া, হংকং এবং তাইওয়ান। এই ৪ দেশের মিলিয়নেয়ারের অনুপাতের সংখ্যা গত ১০ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুপাতের সংখ্যার চেয়ে বেশি বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

এইচএসবিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালে এই সমীক্ষায় প্রথম স্থান দখল করেছিল অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুর দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল। ওই বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই দেশগুলোর তুলনার কোনও তথ্য উল্লেখ করা হয়নি রিপোর্টে।

এইচএসবিসি জানিয়েছে, বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর থেকে এশিয়ার আর্থিক সম্পদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই অঞ্চলে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির জন্ম হয়েছে যার মধ্যে অন্যতম সিঙ্গাপুর। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স এবং ভারতের জনসংখ্যায় ২৫০,০০০ ডলার রয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণের চেয়েও বেড়ে যাবে। এই দেশগুলিতে দরিদ্রশ্রেণীর মানুষের সংখ্যা অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় অনেক বেশি হলেও এই পরিবর্তন ঘটবে।

এইচএসবিসি জানিয়েছে যে এই রিপোর্টে পরিবারিক সম্পদ, প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যা, মাথাপিছু আয় (Per Capita Income) এবং মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনের অনুমানের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান প্রস্তুত করা হয়েছে।

সংখ্যার দিকে থেকে বিচার করলে, মেনল্যান্ডে চিনে ২০৩০ সালের মধ্যে মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা হবে প্রায় ৫০ মিলিয়ন। এইচএসবিসি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে এই সংখ্যা ৬ মিলিয়নের বেশি হতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের মোট ৪ শতাংশ মানুষ এবং ভারতের ১ শতাংশ জনসংখ্যা এই তালিকায় থাকবে।

এশিয়ার অন্যতম মুখ্য অর্থনীতিবিদ এবং এইচএসবিসি গ্লোবাল রিসার্চ এশিয়ার সহ-প্রধান ফ্রেডেরিক নিউম্যান এই রিপোর্টে লিখেছেন, “এশিয়ার সম্পদের বৃদ্ধির একটি হিসাব সামাজিক সম্পদের উপরও আলোকপাত করে যা শেষ পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষকে দারিদ্র্যসীমা থেকে বের করে আনতে সাহায্য করবে। অসমভাবে বিতরণ থাকা সত্ত্বেও এই অঞ্চলের দেশগুলোর কাছে পুঁজির অভাব নেই।”

Published by:Siddhartha Sarkar

(Source: news18.com)